বলা হয়ে থাকে, কারও বাড়ির বাথরুম বা রান্নাঘর কেমন তা দেখে তার রুচি সম্পর্কে বোঝা যায়। রান্নাঘর তবু প্রতিদিন কম-বেশি পরিষ্কার করা যায়, কিন্তু বাথরুম পরিষ্কার করা বেশ ঝামেলার। এই কাজ স্বাচ্ছন্দ্যে কেউ করতে চায় না। কিন্তু নিয়মিত বাথরুম পরিষ্কার করা ভীষণ জরুরি। কারণ এই জায়গা পরিষ্কার না থাকলে ঘটতে পারে নানা অসুখের সংক্রমণ। এক্ষেত্রে বিরক্ত হয়ে লাভ নেই। বরং সহজ কৌশল শিখে নিলে খুব দ্রুত বাথরুম পরিষ্কার করতে পারবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক-

১. ভিনেগার ব্যবহার

বাড়িতে ভিনেগার আছে নিশ্চয়ই? এটি বাড়ির বাথরুম পরিষ্কার করতে কিন্তু কাজে লাগবে। টাইলসে বা বাথরুমের মেঝেতে বেশ কিছুক্ষণ ভিনেগার মেখে সেভাবে রেখে দিন। ততক্ষণ বাথরুম ব্যবহার করবেন না। এরপর একটি মেঝে পরিষ্কারের ব্রাশ দিয়ে ভালো করে ঘষুন। এতে আয়রনের কালচে দাগ সহজে দূর হয়। যে কারণে বাথরুম হয় ঝকঝকে।

২. লেবুর খোসা ব্যবহার

লেবু খাওয়ার পর বেশিরভাগ মানুষই এর খোসা ফেলে দেন। আপনিও কি এমনটা করেন? লেবু খাওয়ার পর এর খোসা ফেলে না দিয়ে বরং এটি কাজে লাগে পারেন বাথরুম পরিষ্কারের ক্ষেত্রে। প্রথমে পানিতে লেবুর খোসা ফুটিয়ে নিন ভালো করে। এরপর সেই পানিতে লিকুইড ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নিন। তরল এই মিশ্রণ বাথরমের সব কোণে ভালো করে ঘষে নিন। এতে বাথরুম পরিষ্কার হবে। এবং সুগন্ধিও ছড়াবে।

৩. বেকিং সোডা ব্যবহার

বেকিং সোডা কেবল খাবার তৈরির কাজেই নয়, বরং কোনোকিছু পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেও এটি কাজে লাগে। বাথরুমের টাইলসে আগের দিন রাতে বেকিং সোডা ছড়িয়ে রেখে দিন। এরপর সেই বাথরুম পরিষ্কার করার আগ পর্যন্ত আর ব্যবহার করবেন না। পরের দিন হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ঘষুন। এতে বাথরুমের দাগ উঠে যাবে। ফলে চকচকে হয়ে উঠবে সহজেই।

৪. বেবি অয়েল ব্যবহার

কমোড অনেক বছর ব্যবহার করার পরও যদি নতুনের মতো রাখতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন বেবি অয়েল। প্রথমে একটি পরিষ্কার সুতির কাপড়ে বেবি অয়েল ঘষে নিন। এরপর সেই কাপড় দিয়ে কমোড ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। এতে কমোড থাকবে নতুনের মতোই ঝকঝকে।

এইচএন