যিনি ব্যর্থ, তিনি কি বুঝতে পারেন যে তিনি ব্যর্থ? সম্ভবত না। কারণ নিজের ব্যর্থতা বুঝতে পারলে মানুষ আর সেই পথে থাকে না। তখন সঠিক পথ খুঁজে নেন এবং অল্প হলেও সফলতার দেখা পান। আপনার অজান্তেই হয়তো এমনকিছু কাজ বা অভ্যাস রয়ে গেছে যা দিনশেষে আপনাকে একজন ব্যর্থ মানুষ হিসেবে প্রকাশ করে। হয়তো আপনি বুঝতে পারছেন না, কেন আপনার জীবনে সফলতার দেখা মিলছে না। চলুন, মিলিয়ে নেওয়া যাক, আপনি ব্যর্থ মানুষ কি না-

১. ভুল মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো

আপনার চারপাশে ভুল মানুষ নেই তো? জীবনে সফলতা পেতে হলে সঠিক মানুষকে পাশে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। একজন ভুল মানুষ আপনাকে ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে, আপনার আত্মবিশ্বাস চূর্ণ করে দিতে পারে। তাই সঙ্গী কিংবা বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। এমনকী আত্মীয়-পরিজনদের মধ্যে যারা নেতিবাচক চিন্তাধারার, তাদের সঙ্গ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

২. নেতিবাচক চিন্তা

ব্যর্থ মানুষের আরেকটি লক্ষণ হলো, তারা সারাক্ষণ নেতিবাচক চিন্তায় ডুবে থাকেন। যেকোনো জিনিসেরই দুটি দিক থাকে। নেতিবাচক আর ইতিবাচক। ব্যর্থ মানুষেরা সারাক্ষণ নেতিবাচক দিকগুলো ভাবেন এবং উদ্বিগ্ন হন। এই নেতিবাচক চিন্তা তাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে বাধা দেয়। সারাক্ষণ এক ধরনের ভয় কাজ করে। তাদের শুরুতেই মনে হয়, ‘আমি পারবো না’!

৩. দেরি করার অভ্যাস

আপনার কি দেরি করার অভ্যাস আছে? সবকিছুতে আপনি দেরি করে ফেলেন? নির্দিষ্ট সময়েরও অনেক পরে উপস্থিত হন? এ ধরনের অভ্যাস কিন্তু একজন ব্যর্থ মানুষের চিত্র প্রকাশ করে। তাই এই অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত বাদ দিন। নয়তো দিনশেষে ব্যর্থদের তালিকায় নিজের নামটিও দেখতে হতে পারে।

৪. অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে না শোনা

ব্যর্থ বা অসফল মানুষেরা কখনো ভালো শ্রোতা হতে পারেন না। তারা কখনো অন্যের কথা মন দিয়ে শোনেন না, কেবল নিজের কথাই বলতে চান। একজন সফল মানুষ হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই মনোযোগী শ্রোতা হতে হবে। অন্যের কথা শোনা এবং অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া একজন সফল মানুষের লক্ষণ। তাই অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার অভ্যাস করুন। এতে আপনিই লাভবান হবেন।

৫. অলসতা করা

অলস ব্যক্তি তো ব্যর্থ মানুষেরই প্রতিচ্ছবি। জীবনে প্রচেষ্টা আর পরিশ্রম না থাকলে সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই হাল ছেড়ে না দিয়ে লেগে থাকতে হবে। দিনশেষে কোথাও না কোথাও ঠিকই পৌঁছে যাবেন। কিন্তু আপনি যদি সারাক্ষণ গড়াগড়ি করে সময় নষ্ট করেন, অলসতা করে বেলা কাটান তখন একজন ব্যর্থ মানুষ হিসেবেই পরিচিত হবেন। নিজেকে ব্যর্থ হিসেবে দেখতে না চাইলে এই অভ্যাস যত দ্রুত সম্ভব ত্যাগ করুন।

এইচএন