বছরের এই সময়টাতে মটরশুঁটির দেখা মেলে। বিভিন্ন প্রকার সবজি ও রান্নায় ব্যবহার করা হয় এই মটরশুঁটি। এটি বেশ সুস্বাদু। পোলাও, খিচুড়ি, নুডলস, পাস্তা তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় মটরশুঁটি। মটরশুঁটির কচুরিও বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। তবে এটি কি কেবল সুস্বাদু, এর কি পুষ্টিগুণ কিংবা উপকারিতা নেই? সেকথাই বলছি। আপনার এই পছন্দের মটরশুঁটির কিন্তু রয়েছে অনেক উপকারিতা। যেগুলো আপনি হয়তো জানেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক মটরশুঁটির কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-

১. প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে

আমাদের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা জরুরি। পুষ্টিবিদদের মতে, এক বাটি মটরশুঁটি খেলে তা ২ টুকরা মাছ বা মাংসের সমপরিমাণ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে।’ এই শস্যদানায় রয়েছে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। তাই আপনার প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন মটরশুঁটি।

২. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে

শরীরে জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। নয়তো সেখান থেকে বিভিন্ন অসুখ বিশেষ করে হৃদরোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের সমস্যা দূরে রাখতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে মটরশুঁটি। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মটরশুঁটি খেতে পারেন। সেইসঙ্গে শরীরে ট্রাই গ্লিসারাইড উৎপাদন কমাতেও সাহায্য করে এটি। ফলে বিভিন্ন অসুখ থেকে দূরে থাকা সহজ হয়।

৩. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে

আমাদের সুস্থ থাকার জন্য ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করা কতটা জরুরি তা জানা আছে নিশ্চয়ই? এই কাজে সাহায্য করে উপকারী শস্য মটরশুঁটি। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই কম। সেইসঙ্গে মটরশুঁটিতে থাকে উচ্চমাত্রায় ফাইবার ও প্রোটিন। যে কারণে এটি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে প্রোটিন সম্পন্ন খাবার উপকারী। 

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। মটরশুঁটিতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী। সেইসঙ্গে এতে আরও থাকে ভিটামিন সি, ই এবং জিঙ্কের মতো উপাদান। যা বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে মুক্ত রাখে। এটি হজমক্ষমতাও ভালো রাখে।

এইচএন