সুস্থ থাকতে কোন ৩ ধরনের ডাল খাওয়া যাবে না?
ইউরিক অ্যাসিড মূলত আপনার শরীরে নানা খাবার থেকে তৈরি হয়ে থাকে। এই অ্যাসিড সাধারণত সবার শরীরেই পাওয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনে যে ক্রনিক অসুখগুলো হানা দেয়, ইউরিক অ্যাসিড তার মধ্যে অন্যতম। এই ধরনের শারীরিক সমস্যা কোনো বয়স দেখে আসে না। যে কোনো বয়সেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি ধরা পড়লে পায়ে ব্যথা বাড়ে।
সঠিক নিয়মে না চললে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গিয়ে একটা বাড়াবাড়ি হতে পারে। এটি হওয়া মানেই অনেক ধরনের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ তৈরি হয়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড হলে পালংশাক, পাঁঠার মাংস, টমেটো— এই ধরনের খাবারগুলো খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তাছাড়া, অনেক স্বাস্থ্যকর খাবারও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের খাওয়া বারণ হয়ে যায়। সেই তালিকায় একেবারে ওপরের দিকে রয়েছে ডাল। নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর হলেও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের কোন ডালগুলো খাওয়া উচিত নয়?
বিজ্ঞাপন
মসুর ডাল
ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে প্রোটিন কম খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। মসুর ডালে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে প্রোটিন। বাকি ডালের চেয়ে মসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে মুসুর ডাল খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ছোলার ডাল
লুচির সঙ্গে এক বাটি ছোলার ডাল হলে মন্দ হয় না। কিন্তু ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের ছোলার ডাল খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। মসুর ডালের মতো না হলেও ছোলার ডালে প্রোটিনের পরিমাণ কম নেই। প্রোটিন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিউলির ডাল
আলুপোস্ত আর বিউলির ডাল বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার। তবে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় বিউলির ডাল এড়িয়ে চলতে পারেন। বিউলির ডাল খেতে ভালো লাগলেও ইউরিক অ্যাসিড যদি দীর্ঘ দিনের সমস্যা হয়ে থাকে, তা হলে এই ডাল এড়িয়ে চলাই ভালো।
এসএম