সালাদ, স্ন্যাকস কিংবা অ্যাপেটাইজারের সঙ্গে মেয়োনিজ না থাকলে কেমন অসম্পূর্ণ লাগে যেন। এটি অত্যন্ত সুস্বাদুও। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই স্বাদযুক্ত খাবারই আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে নিঃশব্দে প্রভাবিত করতে পারে? এর ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা বেড়েই চলবে। তাই খেতে যত ভালো লাগুক কিংবা যতই প্রিয় খাবার হোক না কেন, এটি খাওয়া বাদ দিতে হবে। কারণ এর স্বাদ যতটা ভালো, আমাদের শরীরের জন্য ঠিক ততটাই ক্ষতিকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-

১. ক্যালোরি এবং ফ্যাট

মেয়োনিজ হলো একটি বাড়তি ক্যালোরিযুক্ত খাবার যা তেল, ডিম, সোডিয়াম সমৃদ্ধ লবণ দিয়ে তৈরি। এর ফলে এতে অতিরিক্ত ফ্যাটও যোগ হয়। যাইহোক, এটি বেশিরভাগ সময়ে স্যান্ডউইচ, সালাদ এবং অন্যান্য খাবারে ব্যবহৃত হয়। যা উচ্চ ক্যালোরি গ্রহণের কারণ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত ক্যালোরি ও ফ্যাট থেকে বাঁচতে চাইলে এই খাবার খাওয়া পুরোপুরি বাদ দিতে হবে।

২. স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট

মেয়োনিজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উদ্ভিজ্জ তেল দিয়ে তৈরি করা হয় যাতে স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকতে পারে। স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট অত্যধিক গ্রহণ করলে তা কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এ ধরনের রোগ এড়াতে আপনাকে মেয়োনিজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩. প্রিজারভেটিভস এবং অ্যাডিটিভস

বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত মেয়োনিজে এর শেলফ লাইফ এবং স্বাদ বাড়াতে প্রিজারভেটিভ এবং অ্যাডিটিভ থাকতে পারে। তাই এটি বাড়িতে বা রেস্টুরেন্টে তৈরি মেয়োনিজের চেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত স্বাদ যোগ করার জন্য মেয়োনিজ ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

৪. কাঁচা ডিম

মেয়োনেজ তৈরিতে কাঁচা ডিম ব্যবহার করা হয়, যা সালমোনেলার সম্ভাব্য দূষণের কারণে খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বাণিজ্যিক মেয়োনিজ সাধারণত পাস্তুরিত ডিম দিয়ে তৈরি করা হয়, যা গর্ভবতী নারী এবং শিশুদের বা যারা বিপাকীয় স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

৫. অ্যালার্জি​

যাদের বিভিন্ন খাবার থেকে অ্যালার্জি হয় তারা মেয়োনিজ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হবেন। কারণ মেয়োনিজে ডিম থাকায় তা কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি করতে পারে। মেয়োনিজে অ্যাডিটিভ এবং প্রিজারভেটিভও থাকতে পারে, যা খাদ্যের পুষ্টিগুণকে বাধাগ্রস্ত এবং নির্দিষ্ট কিছু অসুস্থতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।