প্রতি বছর ১৯ এপ্রিল বিশ্ব লিভার দিবস হিসেবে পালিত হয়। ফোর্টিস হসপিটাল মোহালির গ্যাস্ট্রোলজি অ্যান্ড হেপাটোলজির পরিচালক ড. অরবিন্দ সাহনি বলেছেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং অতিরিক্ত মদ্যপান বন্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লিভারের সমস্যাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে করোনাভাইরাস। করোনা সংক্রমণের কারণে লিভারে স্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। করোনার কারণে লিভারের যে সমস্যা হয় তাতে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। তাই করোনা থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা উচিত।’ 

ডা. অরবিন্দ আরও বলেন, হেপাইটিস এ বা বি ভাইরাস মানুষের শরীরে নীরবে অনেক দিন ধরে থাকতে পারে। এর কারণে লিভার ক্যান্সার বা লিভার সিরোসিস হতে পারে। তাই হেপাইটাইটিস এ বা বি ভাইরাস এবং করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। 

ডা. সাহনি বলেন, ‘আমরা কীভাবে জীবনযাপন করি তার প্রভাব আমাদের লিভারের ওপর পড়ে। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিস এবং ফ্যাট সৃষ্টিকারী ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে লিভারের রোগ হয়। লিভারের রোগের মধ্যে সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো জন্ডিস।’ 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানা যায়, সংক্রামক ব্যাধির কারণে লিভারের রোগ হয়। পানিবাহিত রোগ হেপাটাইটিস এ এবং ই ভাইরাসের কারণে লিভারের সমস্যা হতে পারে। অন্যদিকে রক্তবাহিত রোগ হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসের কারণে লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সারের মতো অনেক মারণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। 

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় বলা হয়, করোনার কারণে লিভারের ক্ষতি হয়। ইয়েল ভাইরাল হেপাটাইটিস প্রোগ্রামের পরিচালক ডা. জোসেফ লিম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের অ্যালকোহলিক বা নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।’ নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগের সঙ্গে মেদবৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়েবেটিস ও উচ্চ ক্যালরির রোগের সম্পর্ক রয়েছে।

ডা. সাহনি বলেন, যাদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি প্রবল তাদের লিভার রোগও হতে পারে। ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই করোনা ভ্যাকসিন নিতে হবে। 

শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর মধ্যে লিভার অন্যতম। লিভার সুস্থ রাখতে তাই সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনাসহ যেকোনো ধরনের ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে হবে। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনবিধি পারে লিভারের রোগসহ নানা রোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে। 

এইচএকে/এইচএন/এএ