বিবাহিত জীবন সুশৃঙ্ক্ষল হওয়া জরুরি। কিছু নিয়ম মেনে চললে দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়া সহজ হয়। তবে এই নিয়ম মানা কষ্টকর কিছু নয়। মূলত দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক সুন্দর করার জন্যই এই নিয়ম। একা থাকলে একরকম জীবন, কিন্তু দু’জন মানুষ যখন একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সেই সম্পর্কে ভালোবাসা, সম্মান, বোঝাপড়া জরুরি। মানুষ শান্তির আশায় বিয়ের বন্ধনে জড়ায়। তাই বৈবাহিক সম্পর্কে শান্তি থাকা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিয়ের পরে কোন নিয়মগুলো মেনে চলবেন-

১. মন খুলে কথা বলা

নবদম্পতিরা বেশিরভাগ সময়েই মন খুলে কথা বলার তাৎপর্য বুঝতে পারে না। বিয়ের পরের সময়টাতে তারা হয়তো এক ধরনের ঘোরের মধ্যে থাকে। কিন্তু এটিই হলো পরস্পরকে চিনতে পারার জন্য উপযুক্ত সময়। তাই বিয়ের পরে প্রথম অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত মন খুলে কথা বলার বিষয়টি। যদি সঙ্গীর সঙ্গে মন খুলে কথাই না বলা যায়, তবে সেই সম্পর্ক সহজে সুন্দর হয়ে উঠবে না এটাই স্বাভাবিক

২. মানসিক ঘনিষ্ঠতা

মানসিক ঘনিষ্ঠতা থাকলে বৈবাহিক বন্ধন দৃঢ় হয়। তাই পরস্পরের চিন্তা-ভাবনার মিল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক ঘনিষ্ঠতা না থাকলে তার আপনজন হয়ে ওঠা কষ্টকর হবে। তখন একসঙ্গে পথচলা দুষ্কর হয়ে যাবে। দুইজন সারাক্ষণই যদি সব বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন, যদি খিটিমিটি লেগেই থাকে তাহলে সেই সম্পর্ক সুন্দর হবে কী করে?

৩. মন দিয়ে শোনা

মন দিয়ে সঙ্গীর কথা শোনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন তার কথা মন দিয়ে শুনবেন, তখন সে আপনার কাছেই সবকিছু বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। সহানুভূতি, সমবেদনা এবং আপস সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করে। সেজন্য প্রয়োজন তার কথা মন দিয়ে শোনা এবং বুঝতে পারা। আর্থিক চাপ, কর্মজীবনের পরিবর্তন, এবং পারিবারিক গতিশীলতা- অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জই থাকতে পারে। এইসব মোকাবিলায় আপনাকে তার সঙ্গী হতে হবে।

৪. অংশীদারিত্ব

তার সবকিছুর অংশ হয়ে যান। সুখের এবং দুঃখেরও। তার কষ্টগুলো অনুভব করার চেষ্টা করুন। তার আনন্দে আনন্দিত হোন। তার স্বপ্নপূরণে সাহায্য করুন। এটাই হলো অংশীদারিত্ব। স্বামী কিংবা স্ত্রী হওয়ার মানে হলো যেকোনো অবস্থায়ই তার পাশে থাকা। দু’জন মিলে বাকি জীবন একসঙ্গে কাটিয়ে দেওয়া।

৫. পারস্পরিক সম্মান

সম্পর্কে ভালোবাসার মতোই জরুরি একটি বিষয় হলো পারস্পরিক সম্মান। এটি না থাকলে যেকোনো সম্পর্কই মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। তাই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক সুন্দর রাখার জন্য সম্মান ধরে রাখুন। তাকে সম্মান দিন। তার যেকোনো সিদ্ধান্ত কিংবা মতামতকেও সম্মান জানান, যদি তা আপনার মতের সঙ্গে নাও মেলে। এক্ষেত্রে আপনি তাকে আপনার দ্বিমতের কথা সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে পারেন।