আবেগ কমাতে চান?
আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল। তবে এই গুণ থাকার অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনার কমনীয়তা এবং আত্ম-নিয়ন্ত্রণের কারণে অন্যের কাছে প্রশংসিত হবেন। কঠিন সময়ে শান্ত থাকার জন্য অনেকে আপনার ওপর আস্থা রাখতে শুরু করবে। কিন্তু সবার আগে আপনাকে আবেগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। মনে রাখবেন, কখনো আবেগ দ্বারা আপনি নিয়ন্ত্রিত হবেন না। আপনার স্বভাবে ভালোবাসা, মায়া, করুণা সবই থাকবে তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সবদিক বিবেচনা করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আবেগ নিয়ন্ত্রণে থাকার উপায়গুলো-
১. আত্ম-সচেতন হোন
বিজ্ঞাপন
নিজের আবেগকে চেনা এবং বোঝার মাধ্যমে আত্ম-সচেতনতা গড়ে তুলুন। অন্তর্নিহিত অনুভূতি এবং কী করলে তা বাড়ে তা সনাক্ত করতে নিয়মিত নিজের সঙ্গে কথা বলুন। এই সচেতনতা কার্যকর মানসিক ব্যবস্থাপনার অংশ। এই ধরনের আত্ম-সচেতনতা এবং মনের স্বচ্ছতার জন্য ধ্যান একটি সহজ কিন্তু কার্যকর হাতিয়ার। ধর্মীয় প্রার্থনাও আপনাকে এই কাজে সাহায্য করতে পারে।
২. মননশীলতার চর্চা
ধ্যান, গভীর শ্বাস বা ইয়োগার মতো মননশীলয় যুক্ত হোন। এই অনুশীলনগুলো একটি মানসিক স্থান তৈরি করতে সহায়তা করে যা আপনাকে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছাড়াই আবেগ পর্যবেক্ষণে সাহায্য করে। ফলে আপনার জন্য আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
আরও পড়ুন
৩. বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করুন
আপনার আবেগ প্রকাশের জন্য উপকারী কোনো মাধ্যম বেছে নিন। জার্নালিং, বিশ্বস্ত বন্ধু বা থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলা, চিত্রাঙ্কন বা আবৃত্তির মতো সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপগুলোতে জড়িত হতে পারেন। এগুলো একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনার ব্যক্তিগত বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। খোলা মনে মিশতে জানলে তা আবেগকে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আটকে থাকতে দেয় না। এতে আপনি মানসিকভাবেও সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
৪. মানসিক বুদ্ধির বিকাশ করুন
বর্তমান বিশ্বে ভালো আইকিউ থাকা জরুরি। সেজন্য কেবল আবেগ নিয়ন্ত্রণই নয়, আপনার অন্যের অনুভূতি বুঝতে পারে এবং অন্যকে সহানুভূতি জানানোর মতো ক্ষমতাও থাকতে হবে। এটি আপনার বন্ধু, পরিবার এবং সহকর্মীদের সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করবে। অন্যকে সম্মান করা, তাদের ভালো কাজের প্রশংসা করার অভ্যাসও আপনাকে আরও পরিণত করবে।
৫. ইতিবাচক থাকুন
সবসময় ইতিবাচক থাকা কঠিন হতে পারে। তবে চেষ্টা করুন। কারণ নেতিবাচকতার থেকেও ইতিবাচকতার শক্তি অনেক বেশি। স্ট্রেস বা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবিলার করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক থাকুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। শখের কাজ করুন। প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এসবকিছু আপনার মানসিক স্থিতিস্থাপকতা এবং সুস্থতায় অবদান রাখবে। আপনি আর সহজেই আবেগের দ্বারা বশীভূত হবেন না।