প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা জয় করার ক্ষমতা থাকতে হয়। প্রেম মানে কেবল রোমান্টিকতা নয়, এটি কঠোর বাস্তবতারও অংশ। অনেক সময় গভীর প্রেম সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। প্রেমে থাকা সত্ত্বেও কখনো কখনো আলাদা হওয়ার সময় আসে। তখন নিজের অস্তিত্ব রক্ষা আর মানসিক সুস্থতার সেটি অপরিহার্য পদক্ষেপ হয়ে ওঠে। জেনে কোন অবস্থাগুলোতে ব্রেকআপ জরুরি হয়ে ওঠে-

১. সহানুভূতি কমে গেলে

সহানুভূতি একটি পরিপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করে, যা মানসিক সংযোগ এবং বোঝাপড়া বৃদ্ধি করে। সহানুভূতি কমে গেলে মানসিক ব্যবধান পূরণ করা কঠিন হয়ে যায়। যদি আপনার সঙ্গী অনবরত আপনার অনুভূতি এবং সংগ্রামকে উপেক্ষা করে বা প্রত্যাখ্যান করে, তবে বুঝে নেবেন আপনাদের মানসিক বন্ধন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরপর সে পাশে থাকলেও আপনি সব সময় শূন্যতা অনুভব করবেন। সমর্থন এবং ভালোবাসার বদলে পাবেন কেবল উপেক্ষা। এমন অবস্থায় যদি তার প্রতি আপনার প্রেম থাকেও, তবু ব্রেকআপ করা উচিত।

২. আপনাকে বুঝতে ব্যর্থ হলে

সে যদি আপনাকে আর কোনোভাবেই বুঝতে না চায় বা বুঝতে ব্যর্থ হয় তাহলে আরেকবার ভেবে দেখুন। আপনার একারই কেবল দায় নয় তাকে সবকিছু বোঝানো। সবকিছুর ব্যাখ্যা করতে গেলে আর নিজের কাজটি ঠিকভাবে করতে পারবেন না। ভুল বোঝাবুঝি চলতে থাকলে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হবে। আপনার একার প্রচেষ্টায় সম্পর্ক খুব বেশিদিন সুন্দর রাখা যাবে না, যদি না তার দিক থেকে কোনো প্রচেষ্টা না থাকে। সে যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবেই আপনাকে দূরে সরানোর চেষ্টা করে তাহলে দূরে সরে আসাই উত্তম হবে।

৩. স্বপ্ন ভিন্ন হলে

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মাঝে পরিবর্তন আসতে পারে। অনেক অর্জন অনেক সময় দু’জনের পথ ভিন্ন করে দেয়। কারণ স্বপ্ন কিংবা লক্ষ্যের মিল না থাকলে একই পথে বেশি দূর হাঁটা যায় না। তখন পথ ভিন্ন হয়ই। হতে পারে মতেরও অমিল। এত অমিল নিয়ে সম্পর্কে থাকতে গেলে বাড়ে কেবল তিক্ততা। নষ্ট হয় পারস্পারিক সম্পর্ক। তাই এমনটা হলে ব্রেকআপই ভালো। অন্তত সম্মান বজায় থাকবে।

৪. তার উপস্থিতি আপনার একাকিত্ব ঘোচাতে পারে না

শারীরিকভাবে পাশাপাশি থাকলেই সবাই মানসিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয় না। সঙ্গীর পাশে থাকা সত্ত্বেও যদি একাকিত্ব অনুভব করেন তবে বুঝতে পারবেন এটি মানসিক ঘনিষ্ঠতার অভাব। ভালোবাসার সম্পর্কের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে তা আপনাকে একাকিত্ব অনুভব করতে দেবে না। এভাবে চলতে থাকলে বুঝে নেবেন সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে। আপনারা দুজনেই হৃদয়ের চারপাশে দেয়াল তৈরি করেছেন এবং এই ব্যবধান আর পূরণ করতে পারবেন না।

৫. সম্পর্কে গতিহীনতা

সম্পর্কের উন্নতির জন্য যত্ন এবং উন্নতির প্রয়োজন। যদি গতিহীন হয়ে পড়ে, যদি সেই সম্পর্কের আর কোনো লক্ষ্য-উদ্দেশ্য না থাকে তবে তা আর কত দূর নিয়ে যাবেন? গতিহীনতা সম্পর্কের স্বাভাবিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটি দু’জনেরই ব্যক্তিগত এবং যৌথ বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই এমনটা দেখলে নতুন করে ভাবতে পারেন।