কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়
কোলেস্টেরলকে নীরব ঘাতক বলা হয়। এটি আমাদের শরীরের একটি চর্বিযুক্ত পদার্থ যা কোষ তৈরি করতে এবং শারীরিক কার্যকারিতা বাড়াতে খুব বেশি পরিমাণে প্রয়োজন। যখন কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, তখন এটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায়, রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয় এবং হার্টের ঝুঁকি বাড়ায়। আমরা নিয়মিত যা খাই তা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নির্ধারণ করে।
চিন্তা করবেন না, খাবারও হতে পারে আপনার সমস্যার সমাধান। শরীরে এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) এর মাত্রা কমাতে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো ক্যালোরি গ্রহণ সীমিত করা এবং কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় সম্পর্কে জেনে নিন যেগুলো নিয়মিত পান করলে তা আপনাকে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
বিজ্ঞাপন
১. গ্রিন টি
আমরা সবাই জানি যে এক কাপ গ্রিন টি আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো। পুষ্টিবিদ রূপালী দত্তের মতে, গ্রিন টিতে পলিফেনলের সর্বোচ্চ ঘনত্ব রয়েছে যা কেবল এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতেই সাহায্য করে না বরং এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়। ফলে আপনার সুস্থ থাকা আরও সহজ হয়।
২. ব্ল্যাক টি
সেলুলার ফিজিওলজি অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রি জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্ল্যাক টিতে ক্যাটিচিন নামক কিছু যৌগ রয়েছে। যা আয়ন চ্যানেল প্রোটিন সক্রিয় করার মাধ্যমে রক্তনালীকে শিথিল করতে সাহায্য করে। যে কারণে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
৩. বিটরুটের জুস
শীতে তাজা বিটরুটের জুস পান করা উচিত। হিলিং ফুডস বই অনুসারে এটি রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি বিটরুটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বি ভিটামিন স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করতেও সাহায্য করে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, বিটরুটে নাইট্রেটের উচ্চ উপাদান নাইট্রিক অক্সাইড নামক একটি গ্যাস তৈরি করে, যা রক্তনালীকে শিথিল এবং প্রসারিত করতে সাহায্য করে। ফলে রক্ত প্রবাহের উন্নতি হয়।
৪. কমলার জুস
আমরা সবাই সকালের নাস্তায় তাজা কমলার রস পছন্দ করি। এটি কেবল সতেজই নয়, সেইসঙ্গে প্রচুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও দেয়। ডিকে পাবলিশিং-এর হিলিং ফুডস বই অনুসারে, কমলা এবং অন্যান্য সাইট্রাস ফলে হেস্পেরিডিন থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে পেকটিন (ফাইবার) এবং লিমোনয়েড যৌগও কমাতে পারে।
৫. লেবু পানি
আপনি কি প্রতিদিন সকালে লেবু পানি পান করেন? ওজন কমানোর বা ভালো ত্বকের জন্য আপনাকে অবশ্যই এটি করতে হবে। তবে লেবু পানি হার্টের স্বাস্থ্য পরিচালনা করতেও সাহায্য করতে পারে। লেবুতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোষের প্রদাহ কমাতে এবং হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহকে উন্নীত করতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন লেবু পানি পান করার অভ্যাস করুন।