সকালে ঘুম থেকে উঠে কফির কাপে চুমুক না দিলে ঘুমের রেশ যেন কাটতেই চায় না। সেই কফি পানের শুরু। সারাদিনে আরও বেশ কয়েকবার কফি পান করা হয়। কাজের ফাঁকে ক্লান্তি দূর করতে চা বা কফি না খেলে চাঙ্গা ভাবটা যেন আসে না। কফিপ্রেমী হলে তো দিনে কত কাপ কফি খেয়ে ফেলেন তার কোনো হিসাব থাকে না। 

কফি যে শরীরের জন্য ক্ষতিকর এমন মোটেই বলা যাবে না। মানসিক চাপ দূরে রাখা থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত— কফির গুণ নিয়ে বলা বাহুল্য। তবে মাত্রাতিরিক্ত কফি খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ।

চিকিৎসকদের মতে, যত ইচ্ছে তত কফি খাওয়া যায় না। কফির প্রধান উপাদান হলো ক্যাফেইন। কফির উপকারিতা পেতে, সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কফি খেতে পারেন। এক কাপ কফিতে প্রায় ৭০ থেকে ১৪০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। কফি খাওয়ার সময় এই পরিমাণটা ভুলে গেলে চলবে না। এক কাপ কফিতে কী পরিমাণ কফি দিচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে দিনে ৪-৫ কাপের বেশি কফি না খাওয়াই ভালো।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত কফি খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?

১) বেশি কফি খেলে তার প্রতি আসক্তি তৈরি হতে থাকে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর কফি না পেলে মেজাজ খারাপ হতে থাকে। মানসিক অবসাদ আসতে পারে।

২) ক্যাফেইনের প্রভাব পড়ে হৃদযন্ত্রেও। এর প্রভাবে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এমনকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না।

৩) যারা প্রচুর পরিমাণে কফি খান, তাদের অনেকের ঘুম কমে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কাজও ব্যাহত হয়। ঘুমের ঘাটতি অন্যান্য আরও অনেক শারীরিক সমস্যা ডেকে আনে। তাই সুস্থ থাকতে কফি খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।

কেএ