লো ব্লাড প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপের কারণে মাথা ঘোরা এবং ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। যদিও গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে বেশ কিছু ঘরোয়া প্রতিকার এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে। যদি আপনার নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয় তবে অবহেলা করবে না। উচ্চ রক্তচাপের মতো এটিও নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক লো ব্লাড প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপের ঘরোয়া প্রতিকার-

১. খাবারে একটু বেশি লবণ যোগ করুন

আপনার খাবারে একটু বেশি পরিমাণে লবণ যোগ করলে তা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকাগত বড় কোনো পরিবর্তন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে, বিশেষ করে যদি আপনি এ ধরনের সমস্যায় প্রায়ই ভুগে থাকেন।

২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

ডিহাইড্রেশন নিম্ন রক্তচাপের কারণ হতে পারে। পানি, ভেষজ চা এবং ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয়সহ পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল গ্রহণ করুন। ডাবের পানিতে থাকে ইলেক্ট্রোলাইট যা এই সময়ে উপকারী হতে পারে। তাই নিম্ন রক্তচাপ এড়াতে পর্যাপ্ত পানি ও তরল গ্রহণ করুন।

৩. এক কাপ কফি পান করুন

এক কাপ কফি বা চা পান করলে রক্তচাপ সাময়িকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে একসঙ্গে কয়েক কাপ খেয়ে ফেলবেন না যেন। কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে পানিশূন্যতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন।

৪. যোগব্যায়াম এবং শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম

যোগব্যায়াম এবং গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম পেশী শিথিল করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় এ ধরনের ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন। এতে অনেকটাই আরাম পাবেন।

৫. তুলসী চা

তুলসী তার অভিযোজিত বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। গরম পানিতে তাজা বা শুকনো তুলসী পাতা ফুটেয়ে তুলসী চা তৈরি করুন। নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা উপশম করতে এই চা পান করতে পারেন। এতে অনেকটাই আরাম পাবেন।

৬. নিয়মিত ব্যায়াম করুন

হাঁটা, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানোর মতো ক্রিয়াকলাপগুলো উপকারী, তাই এ ধরনের ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা আপনার নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনবে। তবে নতুন কোনো ব্যায়াম শুরু করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন।

৭. বিটরুটের রস

বিটরুট নাইট্রেট সমৃদ্ধ, যা রক্তনালীকে প্রসারিত করতে এবং রক্ত ​​প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে। বিটরুটের রস খেলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে এতে থাকে উচ্চ অক্সালেট সামগ্রী, যে কারণে কিডনিতে সমস্যা থাকলে এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

৮. অল্প খান, বারবার খান

সারাদিনে অল্প এবং ঘন ঘন খাবার খেলে তা রক্তচাপের আকস্মিক হ্রাস রোধ করতে সাহায্য করে। বেশি এবং ভারী খাবারের কারণে রক্তচাপ অস্থায়ীভাবে কমে যেতে পারে কারণ রক্ত পরিপাকতন্ত্রের দিকে পরিচালিত হয়। তাই একসঙ্গে অনেক খাবার খাবেন না।

৯. পর্যাপ্ত ঘুম

পর্যাপ্ত এবং মানসম্পন্ন ঘুম নিশ্চিত করুন, কারণ অপর্যাপ্ত বিশ্রাম নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘুমের রুটিন তৈরি করুন এবং আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন।