মানুষ এখন আগের থেকে বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। এখন অনেকেই চিনির ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানেন। তাই চিনির বদলে গুড় বা মধু খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। আবার শীতের সময়ে মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে তা আপনাকে বাড়তি সুবিধা দেবে। শীতের সকালে এক চামচ মধু দিয়ে আপনার দিনটি শুরু করতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় মধুর উপকারিতা সম্পর্কে অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালে মধু খাওয়ার উপকারিতা-

১. সংক্রমণ রোধ করে

সাইনাসের মতো সমস্যায় দারুণ কার্যকরী একটি উপাদান হতে পারে মধু। মধুতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যৌগ সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে প্রদাহও কমিয়ে দেয়। তাই যাদের সাইনাসের মতো সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত সকালে এক চামচ করে মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এতে দ্রুত উপকার পাবেন।


 
২. শ্বাসকষ্ট দূরে রাখে

শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূরে রাখতে কাজ করে মধু। অনেকেই সর্দি-কাশির কারণে শ্বাসকষ্ট হলে লেবুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করেন। শ্বাসকষ্ট ছাড়াও ফুসফুসের অনেক সমস্যা দূর করতে কাজ করে মধু। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় মধু নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ নিলেও আরাম পাওয়া যায়। বছরখানেকের পুরনো মধু খেলেও এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে আরাম হয়।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্য ও অনিদ্রা দূর করে

কোষ্ঠাকাঠিন্য অনেকের জন্যই ভোগান্তির কারণ। এ ধরনের সমস্যা থেকে প্রতিদিন ভোরে মধু খাওয়ার অভ্যাস খুবই উপকারী। নিয়মিত ভোরবেলা যদি খালি পেটে এক চামচ মধু খেতে পারেন তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। সেইসঙ্গে অনিদ্রা দূর করতেও কাজ করে মধু। রাতে শোবার আগে এক গ্লাস দুধে মধু মিশিয়ে খেলে তা অনিদ্রার সমস্যা দূর করে।

৪. ত্বকের ক্ষত ও মুখের ঘা সারায়

অনেক সময় মুখের ভেতরে ঘা হলে সহজে সারতে চায় না। এমন সমস্যায় আক্রান্ত স্থানে মধু লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। শ্লেষ্মা ঘটিত ঘায়ের ক্ষেত্রে এটি বেশি উপকারী। মধু হলো এক ধরনের অ্যান্টি বায়োটিক তাই এটি ঘা সারাতে কার্যকরী। ত্বকে চুলকানি হলে সেখানে কোল্ড প্রেস অলিভ অয়েল ও মধু মিশিয়ে লাগিয়ে নিলেও উপকার পাওয়া যায়।

৫. হজমের জন্য উপকারী

হজমের সমস্যায় নানাভাবে উপকার করে মধু। এতে তাকা শর্করা সঠিকভাবে খাবার হজম করতে সাহায্য করে। ফলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে এটি শরীরে তাপ ও শক্তি জোগাতেও কাজ করে। যে কারণে প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে সুস্থ থাকা অনেকটাই সহজ হবে।