সম্পর্ক ভাঙার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কেউ সম্পর্ক গড়ে না। প্রেমের শুরুটা তো একটু বেশিই সুন্দর। যখন মনে হয়, একে অন্যের প্রেমে পড়েছে বা যখন থেকে একসঙ্গে পথচলার শুরু হয়, দু’জন মানুষ যেন ঠিক হাওয়ায় উড়তে থাকে। অসংখ্য সুখের স্মৃতি থাকার পরও প্রেম ভেঙে যেতে পারে। আবার কিছু প্রেমের শুরুতেই বোঝা যায় যে তা খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে না। যদিও আগেভাগে সবকিছু বলে দেওয়া যায় না, তবে কিছু লক্ষণ দেখে আন্দাজ করা সম্ভব হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. ​নিজেকে হারিয়ে ফেলা

সঙ্গী মানে কেবল ভালো-মন্দ খোঁজ-খবর নেওয়া নয়, সঙ্গী মানে সবকিছুতেই পাশে থাকা। আপনি যা, তা হিসেবেই আপনাকে পছন্দ করা। কেউ যদি আপনাকে শতভাগ নিজের মতো করে পরিবর্তন করে নিতে চায়, তবে আর যাই হোক, সে আপনাকে ভালোবাসে না। তাই সম্পর্ক শুরুর পর যদি ধীরে ধীরে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে শুরু করেন, তবে সতর্ক হোন। কারণ এভাবে কখনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না। এটি হতে পারে প্রেম ভেঙে যাওয়ার পূর্ব লক্ষণ।

২. আপনার সঙ্গে খুব কম যোগাযোগ করে

সে আপনার সঙ্গে কথা বলার জন্য বা যোগাযোগ করার জন্য কতটা উদগ্রীব তা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি এমন হয় যে খুব একটা যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়াই সে আপনার সঙ্গে তেমন যোগাযোগ করে না, তবে হতে পারে তা প্রেম ভেঙে যাওয়ার পূর্ব লক্ষণ। কারণ ভালোবাসা থাকলে মানুষ শত ব্যস্ততার ফাঁকেই সময় করে নেয় প্রিয় কণ্ঠস্বরটি একবার শোনার জন্য। আপনি তার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা তার আচরণেই প্রকাশ পাবে।

৩. মতের অনেক বেশি অমিল

দু’জন মানুষের সব মত কখনো এক হবে না। মতের অমিল হওয়াটাই বরং স্বাভাবিক। তবে তা যদি খুব বেশি হয় তাহলে সতর্ক হোন। পুরোপুরি ভিন্ন চিন্তার দু’জন মানুষ কখনো একসঙ্গে বেশি দূর যেতে পারে না। একটা সময় তাদের থেমে যেতেই হয়। কারণ তাদের স্বপ্নের মিল থাকে না, গন্তব্যের মিল থাকে না। তাই গল্প দ্রুত ফুরায়, পথও।

৪. আপনার মতামতের মূল্য নেই

পারস্পরিক শ্রদ্ধা যে কোনো সুস্থ ও দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের ভিত্তি। যেকোনো পরিস্থিতিতেই উভয়ের মতামতকে সমানভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন যে সে নিজের মতামতকে আপনার চেয়ে বেশি মূল্য দেয় তাহলে আরেকটু ভেবে দেখুন। কারণ এমনটা চললে সেই প্রেম খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে না।

৫. অন্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে

আপনার পছন্দের মানুষটি যদি আশেপাশের মানুষ যেমন বিক্রয়কর্মী, রেস্তোরাঁর সার্ভার- এদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে তবে নিশ্চিন্ত হতে পারেন। কারণ এ ধরনের মানুষেরা অন্যকে গুরুত্ব দিতে জানে। খেয়াল করুন, যদি নিজের থেকে নিম্ন পর্যায়ের কারও সঙ্গে তার আচরণ খারাপ হয় তাহলে এই সম্পর্কও বেশিদিন টিকে থাকবে না। কারণ সে অন্যকে অসম্মান করতেই পছন্দ করে।