যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য উপকারী খাবার হলো ভুট্টা। বিশেষ করে শিশু-কিশোরের স্বাস্থ্যের জন্য ভুট্টা ভালো একটি খাবার। ডায়েট চার্টে অনেকেই ভুট্টাকে প্রাধান্য দেন। অ্যালার্জি ও বদহজম থেকেও শিশুকে সুরক্ষা দেয় এটি। ভুট্টার উপকারী দিক নিয়ে আজকের আয়োজন- 

পেটব্যথা থেকে রক্ষা করে 
অনেক শিশুকে প্রায় সময়েই পেটব্যথায় ভুগতে দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের পেটের পীড়া থেকে ভুট্টা শিশুকে রক্ষা করে। তবে ডায়রিয়া, কলেরা বা আমাশয়ে ভুট্টা খাওয়ানো উচিত নয়। নিয়মিত ভুট্টা খেলে অ্যালার্জি এবং বদহজমের সমস্যা দূর হয়েূ যায়। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। খনিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাসসমৃদ্ধ ভুট্টা খেলে শিশুদের পেটব্যথা ভালো হয়ে যায়। 

কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে 
বেশিরভাগ শিশুর হজম ও কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে। হজম ও কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য শিশুকে ভুট্টা খাওয়ানো যেতে পারে। তাই আপনার শিশুর যদি এই দুই সমস্যা থাকে তাহলে তাকে বেশি বেশি ভুট্টা খাওয়ান।

চোখ ও ত্বকের জন্য ভালো 
ভুট্টায় রয়েছে ভিটামিন এ। শিশুকে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভুট্টা খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই ত্বকের শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে ভুট্টা। তবে চিকিৎসকরা অ্যালার্জি, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন হাঁচি, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব থাকলে ভুট্টা খেতে নিষেধ করেন। 

ওজন বাড়াতে সহায়তা করে 
শিশুকে ওজন বাড়াতে সহায়তা করে ভুট্টা। শিশু নিয়মিত ভুট্টা খেলে তার ওজন দ্রুত বাড়বে। বিশেষ করে ৬ মাস বয়সে শিশুরা যখন শুকনো খাবার খাওয়া শুরু করে তখন ভুট্টা খাওয়ানো শুরু করলে উপকার পাওয়া যায়। 

স্নায়ু ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী 
শিশুর স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের জন্য ভুট্টা অনেক উপকারী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবসময় শিশুকে ভুট্টা খাওয়ার পরামর্শ দেন। নিয়মিত ভুট্টা খেলে স্নায়ু ও মস্তিষ্কের বিকাশ খুব ভালোভাবে হয়। অনেক ক্ষেত্রে শিশু পড়াশুনা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতিতে মেধাবী হয়ে ওঠে। 

এইচএকে/এইচএন/এএ