নারীদের নিজেকে ভালোবাসার কথা বা নিজের যত্ন নেওয়ার কথা অনেকেই বলে থাকেন, কারণ নারী বরাবরই নিজের যত্নের প্রতি উদাসীন। আবার পুরুষেরাও যে নিজের খুব বেশি যত্ন করেন তা কিন্তু নয়। তবু কেন যেন পুরুষকে আলাদা করে নিজেকে ভালোবাসার কথা, নিজের যত্ন নেওয়ার কথা কেউ মনে করিয়ে দেয় না। একটি সুস্থ এবং পরিপূর্ণ জীবন বজায় রাখার জন্য নিজেকে ভালোবাসা গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষেরা নিজেকে ভালোবাসতে করতে পারেন এই ৭ কাজ-

১. নিজের যত্নকে অগ্রাধিকার দিন

নিজের যত্ন নেওয়াকে প্রতিদিনের রুটিনের একটি অংশ করে নিন। পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার এবং নিয়মিত শরীরচর্চা থাকুক আপনার রুটিনে। নিজের ভালোথাকাকে অগ্রাধিকার দিলে আপনার শরীর এবং মন তাদের প্রাপ্য যত্ন পাবে। 

২. ইতিবাচক থাকুন

আপনার দৈনন্দিন জীবনে ইতিবাচক থাকুন। নিজের প্রতি সদয় থাকুন, আপনার শক্তি বুঝতে চেষ্টা করুন এবং নিজেকে মূল্যায়ন করুন। এই চর্চা আপনার মানসিকতাকে বদলে নিজের যত্নের প্রতি মনোযোগী হতে শেখাবে। তাই নিজের প্রতি ইতিবাচক থাকা সবচেয়ে জরুরি।

৩. নিজেকে সম্মান করুন

সবার আগে নিজেই নিজেকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনের সময় না বলতে শিখুন এবং অন্যদের কাছে আপনার সীমাবদ্ধতার কথাও জানান। এই অভ্যাস আপনার শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা রক্ষা করবে। এতে আপনি যে নিজের প্রতি যত্নশীল এবং অপ্রয়োজনীয় চাপ এড়িয়ে যান তা বাকিরা বুঝতে পারবে।

৪. শখ এবং আবেগ

যা আপনাকে আনন্দ এবং পরিপূর্ণতা এনে দেয়, তাতে সময় দিন। হতে পারে তা আপনার কোনো শখ, সৃজনশীল সাধনা বা আবেগ দিয়ে তৈরি করা কিছু, যা-ই হোক না কেন, নিজের সুখের অনুভূতিগুলো অনুভব করতে শিখুন। নিজের প্রতি ভালোবাসার এই প্রকাশ আপনাকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে

৫. ধ্যান করুন

আপনার দৈনন্দিন রুটিনে মননশীলতার চর্চা যোগ করুন। ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা হাঁটার মাধ্যমেই হোক না কেন, এই অনুশীলনগুলো আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে আপনি নিজের চিন্তাভাবনা এবং আবেগের সঙ্গেও সংযুক্ত থাকতে পারবেন। মননশীলতা আত্ম-সচেতনতা বাড়ায় এবং চাপ পরিচালনার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।

৬. অর্জন উদযাপন করুন

আপনার কৃতিত্বগুলো উদযাপন করুন, তা যতই ছোট হোক না কেন। আপনার কৃতিত্ব নিয়ে গর্ব করুন, হতে পারে তা আপনার ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত বিকাশ বা সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত। সাফল্য উদযাপন এই ধারণাটিকে শক্তিশালী করে যে আপনি নিজেকে ভালোবাসা এবং স্বীকৃতি দেওয়ার যোগ্য।

৭. ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলুন

ইতিবাচক এবং সহায়ক ব্যক্তিদের আশেপাশে থাকুন। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন যা আপনাকে উন্নীত এবং উৎসাহিত করবে। বিষাক্ত স্বভাবের মানুষ এড়িয়ে চলুন। কারণ তারা আপনার আত্মবিশ্বাসকে ভেঙে যেতে পারে। ইতিবাচক সম্পর্ক একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলে। যেখানে নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া আরও সহজ হয়।