ছবি: বিশ্বরঙ

বছর ঘুরে এসেছে বৈশাখ। তবে যেন সেই পরিচিত বৈশাখ নয়। করোনা মহামারির ভয়াবহতা আমাদের সঙ্গী এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। গত বছর বৈশাখ কেটেছে ঘরের ভেতরে। এবারও তাই। কারণ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। তাই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। তাই ঘরে থাকুন। মহামারির এই সময়ে মন বিষণ্ন থাকা কিংবা চিন্তিত থাকাটাই স্বাভাবিক। আয়োজন করে উৎসব পালন করার মতো মনের অবস্থাও নেই অনেকের। তবে জানেন তো, বিষণ্নতা আরও অনেক অসুখ ডেকে আনে, কমিয়ে দেয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। তাই মন ভালো রাখার চেষ্টা করুন। বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিন আনন্দের সঙ্গে।

রোজা ও নববর্ষ

এবার নববর্ষের দিন প্রথম রোজা শুরু। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এদিন রোজা থাকবেন। তাই পহেলা বৈশাখের অন্যতম অংশ নানা স্বাদের খাবারের আয়োজন থাকবে না। দিনের বেলায় সম্ভব নয় তাই ইফতারে কিংবা ইফতারের পর রাখতে পারেন নববর্ষের আয়োজন। যেহেতু গরম ও রোজা, তাই খাবারগুলো যেন স্বাস্থ্যকর হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ভাজা-পোড়া, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিন।

করোনাকাল

করোনা মহামারি নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না। তবে একে অবহেলাও করা যাবে না। খাবার থেকে শুরু করে জীবনযাপনের সব ক্ষেত্রেই মাথায় রাখতে হবে করোনা সংক্রমণের বিষয়টিও। সব সময় নিজেকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করুন। বারবার হাত ধোয়া, প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়া, বাইরে বের হলে মাস্ক পরা- এ বিষয়গুলো মেনে চলুন। নতুন বছরের প্রতীজ্ঞা হোক নিজেকে ও পরিবারের সবাইকে সুরক্ষিত রাখা।

বৈশাখ পালন

প্রতি বছরের মতো বৈশাখের আয়োজন থাকবে না এবার। মেলায় ঘুরে মুড়কি-মিঠাই কেনা হবে না। বৈশাখে পরার নতুন কোনো পোশাক কেনা হয়নি। কেনা হলেও সেটি পরে ঘুরতে বের হওয়ার উপায় নেই। এই মন খারাপের নববর্ষে একটু হলেও আনন্দ খুঁজে নিতে পারেন বন্ধু-প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। দূরে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে ভিডিও কলে ভাগ করে নিন নববর্ষের আনন্দ। তাদের শরীর ও সুস্থতার খোঁজ নিন। সুবিধাবঞ্চিতদের সাধ্যমতো সহায়তা করার মাধ্যমে শুরু করতে পারেন নববর্ষের প্রথম দিন।

এইচএন/এএ