বাঙালির খাবারে মাছ থাকে না এমন দিন কমই থাকে। প্রতিদিনের রান্না থেকে শুরু করে উৎসবের আয়োজন- সব জায়গায়ই থাকে বিভিন্ন ধরনের মাছ। সাধে কি আর বলা হয় যে মাছে-ভাতে বাঙালি। কিন্তু এই মাছ ভাজতে গিয়েই অনেক সময় মুশকিলে পড়তে হয় অনেককে। কারণ মাছ ভাজতে গিয়ে কড়াইয়ের সঙ্গে লেগে যায় বা মাছ ভেঙে যায়। তখন আর সেই মাছ কারও সামনে পরিবেশন করা যায় না। এমন অবস্থায় করণীয় কী? শিখে নিতে হবে এমন কিছু কৌশল, যেগুলো মেনে চললে মাছ ভাজার সঙ্গে আর ভেঙে যাবে না বা কড়াইয়ের সঙ্গে লেগে যাবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. মাছের পানি ঝরিয়ে নিন

মাছ ধোয়ার পর ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর যদি পারেন কিচেন টিস্যু দিয়ে মাছ শুকনো করে মুছে নিন। এতে আরও সুবিধা হবে। কারণ মাছের গায়ে পানি থাকলে সেই মাছ গরম তেলে দিলে কড়াইতে লেগে যাবেই। এরপর মাছ যখন নাড়াচাড়া করবেন তখন ভেঙে যেতে পারে। তাই মাছ থেকে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিতে পারলেই ভালো।

২. হলুদ-লবণ মেখে নিন

মাছের পানি ভালো করে ঝরিয়ে নেওয়ার পর তাতে হলুদ গুঁড়া, লবণ সামান্য মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নেবেন। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে এরপর কড়াইতে তেল গরম দিন। কড়াইয়ের তেল গরম হলে তাতে মাছ দিয়ে ভাজুন।

৩. তেল গরম হওয়ার আগে মাছ দেবেন না

অনেকেই রয়েছেন যারা তেল ঠিক ভাবে গরম হওয়ার আগেই তাতে মাছ দিয়ে দেন। যে কারণে মাছ কড়াইতে লেগে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই মাছ তেলে দেওয়ার আগে খেয়াল করুন তেল ভালোভাবে গরম হয়েছে কি না। গরম হলে তবেই তাতে মাছ দিয়ে দিন।

৪. সঙ্গে সঙ্গে নাড়বেন না

কড়াইতে মাছ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নাড়াচাড়া শুরু করবেন না। ভাজা হওয়ার জন্য সময় দিন। এভাবে অন্তত মিনিট পাঁচেক রেখে তারপর মাছ উল্টে দিন। কারণ মাছ সাধারণত অনেক নরম থাকে। তাই কড়াইতে দেওয়ার পর একটু শক্ত হওয়ার আগেই নাড়তে শুরু করলে কড়াইয়ে লেগে যাওয়ার ভয় থাকে। এতে মাছ ভেঙে যায়।

৫. খুব অল্প তেলে মাছ ভাজবেন না

অনেকে স্বাস্থ্যকর মনে করে খুব অল্প তেলে মাছ ভেজে থাকেন। এমনটা করা যাবে না। মাছ ভাজার জন্য ব্যবহার করতে হবে পর্যাপ্ত তেল। এতে মাছ আর কড়াইতে লেগে যাবে না।

৬. মাঝারি আঁচে ভাজুন

মাছ ভাজার সময় চুলার আঁচের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। আপনি যদি খুব বেশি আঁচে মাছ ভাজেন তবে মাছ দ্রুত পুড়ে যেতে পারে। আবার খুব অল্প আঁচে মাছ ভাজলে তা নরম থাকে এবং ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে। অর্থাৎ ভালোভাবে মাছ ভাজা হয় না। তাই মাছ ভাজার সময় চুলার আঁচ মাঝারি রাখুন। এক পিঠ ভালো করে ভাজা হলেই মাছ উল্টে দেবেন। এরপর অন্য পিঠও ভেজে নিয়ে তুলে ফেলুন।