শীত আসি আসি করছে। এসময় একটু বেশি উষ্ণতা খোঁজে আমাদের মন। শীতের খাবার কিংবা প্রকৃতি নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয়। আকর্ষণীয় এসময় পাওয়া বাড়তি উষ্ণতাটুকুও। কিন্তু এই শীতের সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাবের একটি পড়ে আমাদের ত্বকে। আর তা শুরু হয় শীত আসার আগে থেকেই। 

শীত আসতে না আসতেই আমাদের ত্বকের রুক্ষতা সবার আগে নজরে আসে। ঠোঁট, পায়ের গোড়ালি, কনুই ফেটে যায়, চুল হয়ে যায় বিবর্ণ। এসব সমস্যা সমাধানে যত্ন তো নিতে হবেই সেইসঙ্গে খাবারের প্রতিও হতে হবে সচেতন। কিছু খাবার যোগ করতে হবে, কিছু করতে হবে বিয়োগ। শীতে ত্বক ভালো রাখার জন্য আপনার খাবারের তালিকায় রাখুন এই ৫ খাবার-

১. মিষ্টি আলু

শীতকালীন প্রিয় খাবার মিষ্টি আলু ভিটামিন এ সমৃদ্ধ, যা ত্বক মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়। এতে আরও থাকে বিটা-ক্যারোটিন, যা শীতের কঠোর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। তাই শীতের এই সময়ে নিয়মিত মিষ্টি আলু খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সতেজ রাখতে কাজ করবে।

২. পালং শাক

পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজের পাওয়ার হাউস হলো পালং শাক। এতে আরও থাকে আয়রন এবং ত্বক-বান্ধব ভিটামিন ই। পালং শাকের ভিটামিন এ এবং সি ত্বক ভালো রাখতে কাজ করে। এই শাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাইড্রেশনে ভরপুর থাকে, যা আপনার ত্বককে বাড়তি সুবিধা দেয়। তাই শীতে ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত খেতে হবে পালং শাক।

৩. বাদাম এবং বীজ

বাদাম এবং বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড দিয়ে পরিপূর্ণ থাকে যা আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। এই খাবার নিয়মিত খেলে তা ত্বকের কোষের ক্ষতি সারাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ত্বকের নতুন কোষ জন্মাতেও করে। ত্বককে মসৃণ করতে নিয়মিত এ ধরনের খাবার খান। দিনে এক মুঠো বাদাম, আখরোট বা সূর্যমুখীর বীজ যথেষ্ট।

৪. মাছ

মাছের অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। ওমেগা -৩ এর অন্যতম উৎস হলো বিভিন্ন ধরনের মাছ। ডুবো তেলে ভাজার পরিবর্তে স্বাস্থ্যকরভাবে মাছ রান্নার পদ্ধতি বেছে নিন। যেমন স্টিমিং, গ্রিলিং, পোচিং বা বেকিং। নিয়মিত মাছ খেলে তা শরীরের প্রদাহ কমাতেও কাজ করে। স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনের মতো সামুদ্রিক মাছ আপনার ত্বক ভালো রাখতে কাজ করবে।

৫. অ্যাভাকাডো

অ্যাভাকাডো বিদেশি ফল হলেও এখন আমাদের দেশে এটি পাওয়া যায়। এই ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা-ক্যারোটিন, ফোলেট, ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই ইত্যাদি থাকে। যা শীতকালে ত্বককে অতিরিক্ত পুষ্টি সরবরাহ করে এবং শুষ্কতা দূর করে। অ্যাভোকাডো পুষ্টিগুণে ভরা। এটি ত্বক ভালো রাখার পাশাপাশি শরীরের আরও অনেক উপকার করে।