বথুয়া শাক খাওয়ার উপকারিতা
এই সময়ে সরিষা বা পালং শাক পাওয়া যায় প্রচুর। এসব শাকের আড়ালে আরেকটি শাক সেভাবে আমাদের নজর কাড়তে পারে না। সেটি হলো বথুয়া শাক। ছোট ছোট পাতার এই শাকের রয়েছে অনেক উপকারিতা। এর স্বাদও অনন্য। বথুয়া শাককে বলা হয় শীতকালীন সুপারফুড। নিয়মিত এই শাক খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। সেইসঙ্গে দেয় আরও অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা। এই শাকে থাকে ফাইবার, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো কার্যকরী পুষ্টি উপাদান। যারা অল্প ক্যালোরি গ্রহণ করে পুষ্টিকর খাবার খেতে চান, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে বথুয়া শাক খাওয়ার ৫টি উপকারিতা সম্পর্কে-
১. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে উপশম
বিজ্ঞাপন
যদি হজমের সমস্যা আপনাকে কষ্ট দেয় বথুয়া নামক এই সবুজ শাক আপনাকে উপশম দিতে পারে। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পানির উপাদান। যে কারণে বথুয়া শাক খেলে তা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই হজমের সমস্যা সারাতে আপনার খাবারের তালিকায় যোগ করুন এই শাক।
২. ওজন কমাতে সহায়ক
বথুয়া শাক ফাইবার সমৃদ্ধ, এতে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে অনেক কম। যে কারণে বথুয়া শাক খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে আবার তাতে বাড়তি ক্যালোরি জমারও ভয় থাকে না। এর ফলে ওজন কমানোর যাত্রা সহজ হয়। তাই যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদের জন্য এটি হতে পারে আদর্শ শাক।
৩. রক্ত বিশুদ্ধ করে
বথুয়া শাক খেলে তা আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান রক্ত বিশুদ্ধকরণের কাজ করে। যে কারণে শরীর তো সুস্থ থাকেই সেইসঙ্গে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত বথুয়া শাক খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।
৪. ডায়াবেটিসে উপকারী
অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ, বথুয়া শাক ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় উপকারী। বিশেষজ্ঞরাও এ ধরনের সমস্যায় এই শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন। নিয়মিত বথুয়া শাক খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যে কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়।
৫. চুল ভালো রাখে
প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ দিয়ে ভরা বথুয়া শাক খাদ্যতালিকার একটি পুষ্টিকর সংযোজন। বিশেষ করে যদি আপনার চুল পড়ার সমস্যা থাকে। কারণ নিয়মিত বথুয়া শাক খেলে তা চুল পড়ার সমস্যা খুব সহজেই দূর করে। এটি আপনার চুল শুধু মজবুতই করে না, সেইসঙ্গে ঝলমলে ও প্রাণবন্তও করে তোলে।