কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে জমে থাকা ধূলাবালির কারণে আমাদের শরীরে রোগজীবাণু প্রবেশ করে। সে কারণে হাত পরিষ্কারের পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পরিষ্কার রাখা জরুরি। ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে প্রতিদিন অজস্র ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। এসব ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে কানের রোগ, পাকস্থলীর রোগ, নিউমোনিয়া এবং করোনাভাইরাস হতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য ব্যস্ততার মধ্যেও সপ্তাহে অন্তত একবার এসব ডিভাইস পরিষ্কার করতে হবে। ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পরিষ্কারের সময় সকেট থেকে সব প্ল্যাগ খুলে রাখুন। সকেটে প্ল্যাগ রাখলে অসাবধানতার কারণে বিদ্যুতায়িত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। 

কম্পিউটার পরিষ্কার রাখবেন কীভাবে?

কম্পিউটারের সব যন্ত্রাংশ খুলে ফেলুন। এরপর একে একে পরিষ্কার করুন। সম্ভব হলে প্রসেসর বা সিপিইউও খুলে পরিষ্কার করুন। সিপিইউয়ে ধুলা জমে গেলে কম্পিউটারের গতি কমে যেতে পারে। পরিষ্কার করার জন্য রুমাল অথবা ব্রাশ ব্যবহার করুন। এল.ই.ডি মনিটরে ধুলা জমলে সেটি নরম রুমাল দিয়ে মুছে দিন। পরিষ্কার হয়ে গেলে আবার সবকিছু সেট করে রাখুন। 

ল্যাপটপ পরিষ্কার করবেন কীভাবে?

ল্যাপটপের মনিটর ও কী-বোর্ডে জমে থাকা ধুলা নরম রুমাল দিয়ে মুছুন। ডিভাইসটি পরিষ্কারের সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মনে রাখবেন, চার্জার যুক্ত থাকা অবস্থায় ল্যাপটপ পরিষ্কার করতে যাওয়া ঠিক নয়। এতে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি থাকে। পরিষ্কার করার সময় ব্যাটারিটি খুলে রাখুন। 

ফ্ল্যাট-স্ক্রিন টিভি পরিষ্কার করবেন কীভাবে?

ফ্ল্যাট-স্ক্রিন টিভি পরিষ্কারের জন্য নরম একটি রুমাল ব্যবহার করুন। রুমালটি অবশ্যই শুকনো হতে হবে। কারণ ফ্ল্যাট-স্ক্রিন টিভিতে সহজেই হাত বা অন্য কিছুর ছাপ লেগে যেতে পারে। তাই সতর্কতার সঙ্গে ফ্ল্যাট-স্ক্রিন টিভি পরিষ্কার করতে হবে। নোংরা হাতে ফ্ল্যাট-টিভি স্পর্শ করা উচিত নয়। 

হেডফোন এবং ইয়ারফোন কীভাবে পরিষ্কার করবেন?

গান শোনা কিংবা ইউটিউবে ভিডিও দেখার কাজে প্রতিনিয়ত আমরা হেডফোন এবং ইয়ারফোন ব্যবহার করছি। অনেক সময় যত্নের অভাবে হেডফোন বা ইয়ারফোনে ধুলা জমে থাকে। বিশেষ করে বেশিরভাগ মানুষের ইয়ারফোন জড়ানো-প্যাচানো অবস্থায় থাকে। সপ্তাহে অন্তত দুইবার হেডফোন বা ইয়ারফোন পরিষ্কার করা উচিত। 

স্মার্টফোন পরিষ্কার করবেন কীভাবে?

যেকোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পরিষ্কার করার আগে হাত পরিষ্কার করতে হবে। নরম রুমাল দিয়ে স্মার্টফোন পরিষ্কার করতে হবে। স্মার্টফোনে যাতে রোগজীবাণু প্রবেশ করতে না পারে সে কারণে খাওয়ার সময় এবং টয়লেটে স্মার্টফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। রোগজীবাণু থেকে সুরক্ষিত থাকতে ব্যক্তিগত স্মার্টফোন কখনোই অন্যের হাতে দেবেন না। 

এইচএকে/এইচএন/এএ