শীতের মৌসুম মানেই নানা ধরনের সুস্বাদু সবজির সমাহার। এই ঋতুর অন্যতম আকর্ষণীয় সবজি হলো ফুলকপি। এই সবজি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। এটি দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু। সেইসঙ্গে এটি পুষ্টিকরও। ফুলকপি দিয়ে তৈরি করা যায় নানা স্বাদের খাবার। যেভাবেই রান্না করুন না কেন, খেতে দুর্দান্ত লাগবেই। ফুলকপি খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সবজির ৫টি উপকারিতা সম্পর্কে-

১. ফাইবার বেশি থাকে

ফাইবার যেকোনো খাদ্যের একটি প্রয়োজনীয় অংশ। এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। সৌভাগ্যজনকভাবে ফুলকপি ফাইবারে সমৃদ্ধ। মাত্র এক কাপ ফুলকপি দিয়ে আপনার দৈনিক ফাইবারের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব। এই সবজি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। নিয়মিত ফুলকপি খেলে তা হজম এবং কার্ডিয়াক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কাজ করে।

২. কোলিনের ভালো উৎস

কোলিন হলো এক ধরনের পুষ্টি যা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা এবং বিপাকের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত কোলিন গ্রহণ করলে তা স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। অনেকেরই এই পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে কারণ তুলনামূলক কম খাবারেই এটি থাকে, তবে এক কাপ ফুলকপিতে আপনার প্রতিদিনের চাহিদার প্রায় ১১ শতাংশ কোলিন পাওয়া যায়।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভিটামিন সি এত আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে কারণ পুরো বিশ্ব ব্যাপক অসুখ-বিসুখের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তার প্রদাহ বিরোধী প্রভাব এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষমতার জন্য পরিচিত। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন উপকারী সবজি ফুলকপিতে। যে কারণে ফুলকপি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৪. ভিটামিন কে বেশি থাকে

ভিটামিন কে আমাদের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চর্বি-দ্রবণীয় এই ভিটামিন হাড়ের বিপাক, রক্তের ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং রক্ত জমাট বাঁধতে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এর মানে হলো এটি আপনার শরীরকে যেকোনো ধরনের আঘাত থেকে নিরাময় করতে সাহায্য করে। ফুলকপি আপনার প্রয়োজনীয় দৈনিক ভিটামিন কে-এর প্রায় ২০ শতাংশ পৌঁছে দেয়। তাই ভিটামিন কে-এর ঘাটতি পূরণে ফুলকপি রাখুন খাবারের তালিকায়।

৫. ওজন কমাতে সাহায্য করে

ফুলকপির প্রতি কাপে মাত্র ২৫ ক্যালোরি থাকে। কেউ ওজন কমাতে চাইলে তার জন্য সবজিটি দারুণ সহায়ক হতে পারে। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় আপনার হজমকে ধীর করে দিতে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে কাজ করে। এতে পর্যাপ্ত পানির উপাদান থাকে। ফুলকপির ৯২ শতাংশ পানি দিয়ে তৈরি। তাই ফুলকপি খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ফুলকপি খেলে তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতে পারে।