ক্লান্তি দূর করার ২ পানীয়
ক্লান্তি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি হতে পারে বয়স, অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যা বা কাজের চাপের কারণে। যা আমাদের ক্লান্ত করে দেয় এবং দিনের শেষে নিজেকে নিঃশেষ মনে হয়। এমন অবস্থায় আপনি করবেন? আমরা বেশিরভাগই এই নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমাদের ধারণা থাকে, বিশ্রাম নিলেই এই ক্লান্তি কেটে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্লান্ত লাগার সমস্যা যদি লেগেই থাকে তবে দ্রুত তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা উচিত। কারণ ক্লান্তির পেছনে কোনো না কোনো সমস্যা তো রয়েছেই। আর সেই সমস্যা আপনাকে দূর করতে হবে। এক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করার পাশাপাশি আপনার খাবারের দিকে মনোযোগ দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টি সমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য আপনার শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করবে।
বিজ্ঞাপন
কিছু পানীয় রয়েছে যা আপনার ক্লান্তি, বিশেষ করে অ্যাড্রিনাল ক্লান্তি দূর করতে কাজ করবে। এই ডি-স্ট্রেসিং পানীয় রেসিপি ভারতীয় পুষ্টিবিদ শিখা গুপ্তা তার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন।
অ্যাড্রিনাল ক্লান্তি কী?
চাপযুক্ত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন যেতে থাকলে যে ক্লান্তি দেখা দেয় তাকে অ্যাড্রিনাল ক্লান্তি বলে। পুষ্টিবিদ শিখা গুপ্তা ব্যাখ্যা করেন, আমাদের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলো অতিরিক্ত কাজ করলে কর্টিসল সহ হরমোন তৈরি করা বন্ধ করে দেয়, যার ফলে আমরা চাপ অনুভব করি। এটি ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে।
শিখা গুপ্তা আরও বলেন, অ্যাড্রিনাল ক্লান্তির ফলে হারিয়ে যাওয়া খনিজগুলো হলো সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। হারানো খনিজগুলো পুনরায় পূরণ করা এবং অ্যাড্রিনাল ফাংশন উন্নত করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। তিনি দুটি ‘অ্যাড্রিনাল ককটেল’ শেয়ার করেছেন যা খনিজ এবং পুষ্টিতে ভরা। চাপ এবং ক্লান্তি মোকাবিলায় হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে এই দুই পানীয়-
১. কলা-পালং ককটেল
এই পানীয়টি তৈরি করতে আপনার প্রয়োজন হবে ডাবের পানি, কলা, পালং শাক এবং লবণ বা পিংক সল্ট। সবকিছু একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে পান করতে হবে। এই উপাদানগুলোর প্রতিটিই পুষ্টি সমৃদ্ধ যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে কাজ করে। পানীয়টির স্বাদ বাড়াতে আপনি মধু বা খেজুর যোগ করতে পারেন।
২. লেবু-মধু-পিংক সল্ট ককটেল
এই ট্যাঞ্জি পানীয়টি আপনাকে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং খনিজ দিয়ে শক্তি জোগাবে। সেইসঙ্গে এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করবে। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, একটি গ্লাসে ফিল্টার করা পানি, মধু, লবণ বা পিংক সল্ট, লেবুর রস, আপেল সাইডার ভিনেগার এবং লাল মরিচ নিতে হবে। এরপর সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে পান করতে হবে।