অতিরিক্ত ঘামলে কী হয়?
গরম বাড়ছে। গরমের কারণে অনেকের ঘাম হয়। তবে কেউ কেউ অভিযোগ করেন, তাদের ঘাম অস্বাভাবিক। তাপমাত্রায় তুলনায় তাদের ঘাম অনেক বেশি হয়। এমনকী অন্যদের তুলনায় তারা অনেক বেশি ঘামেন। আপনার ক্ষেত্রে যদি এমন সমস্যা দেখা দেয় তবে মোটেই অবহেলা করবেন না। কারণ অতিরিক্ত ঘামও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। হার্ট ব্লক হলে হৃৎপিণ্ডকে রক্ত সঞ্চালনের জন্য অনেক বেশি কাজ করতে হয়। আর হৃৎপিণ্ডের এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে ঘাম সৃষ্টি হয়। এই ঘাম অনেক ঠান্ডা হয়ে থাকে। এমন সমস্যা হলে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে বুক ধড়ফড় করা, ঘাম, হঠাৎ অসুস্থ বোধ করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
হৃদপিণ্ডের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধলে রক্ত প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি হয়, ফলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টোরল, বয়স, মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাবার, মানসিক চাপ, মদ্যপান ইত্যাদি কারণে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক।
অনেকের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হলেও লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানা না থাকার কারণে তা বোঝা সম্ভব হয় না। অনেক সময় বুকে কোনো রকম ব্যথা ছাড়াই হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। যে কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না তা বুঝতে পারা যায় না। বর্তমান সময়ে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা বেড়ে গেছে। তাই কিছু লক্ষণ সম্পর্কে আগেভাগেই জেনে রাখতে হবে।
সব ধরনের নেশাই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এগুলো মস্তিষ্কে সরাসরি প্রভাব ফেলে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্টের সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে কোকেনের অতিরিক্ত ব্যবহার। হার্ট অ্যাটাকের আরেকটি বড় কারণ হতে পারে দূষণ। দূষিত বাতাসে থাকে অনেক রকম বিষাক্ত গ্যাস ও কণা, যেগুলো সরাসরি আমাদের ফুসফুসে আক্রমণ করতে পারে। দাঁত ও চোয়াল ব্যথা, মাথা ব্যথা, কাঁধ কিংবা হাতে ব্যথাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন।
ঘাম হলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় সোডিয়াম ও পটাশিয়াম বাই-কার্বোনেটের অনেকটাই বেরিয়ে যায়। যে কারণে ঘামলে আমরা দুর্বল ও অস্থির বোধ করি। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে স্যালাইন, ডাবের পানি, লেবুর শরবত ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। ফল কিংবা ফলের রসও অনেকটাই কার্যকরী। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পথের পাশ থেকে জুস বা কাটা ফল কিনে খাবেন না। এড়িয়ে চলবেন সব ধরনের কোমল পানীয়। বাসায় তৈরি খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। গরমে চা-কফি এড়িয়ে চলাই ভালো।
এইচএন/এএ