বিয়ের পরে যে ৩ কাজ করতেই হবে
বিয়ে হলো এমন একটি সম্পর্ক যেখানে দুজন ব্যক্তি অনেক চিন্তাভাবনা এবং বিবেচনার পরে প্রবেশ করতে সম্মত হন। প্রেম আর বিয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য। বিয়ে মানেই নতুন অনেক দায়িত্বের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া। তাই যে কেউ বিয়ে করার আগে অনেক চিন্তাভাবনা করে নেন। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার পরে বৈবাহিক জীবনকে কার্যকর করার জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছু করার চেষ্টা করে সবাই। সামঞ্জস্য এবং সমন্বয় উভয়কেই করতে হবে। কিন্তু যদি শুধু একজনের ওপর সমস্ত দায়িত্ব পড়ে, তাহলে সেই দাম্পত্য সুখকর হয় না। কিছু নিয়ম রয়েছে যা কেউ আপনাকে বলে দেবে না, কিন্তু বিয়ের পরে আপনাকে সেগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে সুখে থাকা সহজ হবে-
বিজ্ঞাপন
সঙ্গীর বাবা-মায়ের সমালোচনা করবেন না
সঙ্গীর বাবা-মায়ের ভুল ধরতে চাওয়া বা বর্ণনা করতে চাওয়ার অভ্যাস আপনার দাম্পত্য সম্পর্ককে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। কেউ যদি আপনার বাবা-মাকে খারাপ বলে তাহলে আপনার কেমন লাগবে? আপনার সঙ্গীর ক্ষেত্রেও একই নীতি প্রয়োগ করুন। বিরক্তি তৈরি করার পরিবর্তে আপনি কী অনুভব করছেন তা বোঝার চেষ্টা করুন। শব্দের শক্তি আছে এবং আপনি যদি নিজের অনুভূতিকে ইতিবাচকভাবে প্রকাশ করেন তবে আপনার সমস্যার সমাধানের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। কিন্তু আপনি যদি এটি নেতিবাচকভাবে প্রকাশ করেন তবে পরিস্থিতি হঠাৎ করে ঝগড়া-ঝাটিতে পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুন
বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সমস্যার সমাধান
প্রতিটি ক্ষুদ্র সমস্যার জন্য লড়াই করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এতে আপনার ঝগড়াটে স্বভাবই প্রকাশ পাবে। এর পরিবর্তে বুদ্ধিমান হোন এবং সমস্যা সমাধানের সুন্দর কোনো উপায় বেছে নিন। এটি আপনার আত্মসম্মান বজায় রাখতেও কাজ করবে। ছোট ছোট বিষয়গুলো ধরে রাখবেন না, ছাড় দিতে শিখুন। এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে চুপচাপ বসে থাকতে হবে এবং কখনই কোনো সমস্যা উত্থাপন করবেন না। সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আগেই সঙ্গীর সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় খোলাখুলি কথা বলুন।
সঙ্গীর ভালোবাসার ধরন বুঝুন
মনে রাখবেন, প্রত্যেক মানুষই আলাদা। আপনি তাকে যেভাবে ভালোবাসেন, ঠিক সেভাবেই সে আপনাকে ভালোবাসবে এটা আশা করা বোকামি। তাকে তার মতো করে ভালোবাসতে দিন। কেউ হয়তো গা ঘেঁষে থাকতে পছন্দ করে, কেউ আবার কিছুটা সময় একা কাটাতে। তার ভালোবাসার ধরন বুঝুন। প্রতিটি দম্পতি অনন্য এবং বিভিন্ন দ্বন্দ্ব সমাধানের সুন্দর উপায় রয়েছে, তবে আপনাকে যা শিখতে হবে তা হলো একে অপরের চাহিদাকে সম্মান করা। এতে আপনি শুধু জীবনসঙ্গী নন; সেরা বন্ধুও হয়ে উঠতে পারবেন।