বলিউডের ‘জব উই মেট’ সিনেমার কথা মনে পড়ে? ইমতিয়াজ আলির সেই ছবিতে শান্ত স্বভাবের বেশি কথা না বলা আদিত্য কাশ্যপ, অপরদিকে উচ্ছল ও ঘুমের মধ্যেও কথা বন্ধ না হওয়া গীত ধীলঁ। অনেক দিনের প্রচলিত এক সামাজিক ধারণা থেকেই যা চলে আসে বড় পর্দায়। মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে বেশি কথা বলেন! সত্যিই কি তাই?

জবাব খুঁজতে নেমে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডেভিড লেজার ও তার সহযোগীরা ১৩৩ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে এক সমীক্ষা চালান। সম্প্রতি যার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্য সামাজিক বার্তালাপের গণনার জন্য মোবাইল ফোনের মতো ছোট্ট সোশিওমিটার নামে একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

কে বেশি কথা বলেন—ছেলেরা নাকি মেয়েরা? সমীক্ষার ফলাফল সূত্রে জানা গেছে, এটা পুরোপুরি নির্ভর করে পরিস্থিতির ওপর। যেমন, লাঞ্চের সময়ে মেয়েরা একটু কম কথা বলেন, কিন্তু কোনও শিক্ষাগত আলোচনায় মেয়েরা বেশি কথা বলবেনই। তবে আলোচনা পরিচালনার রাশটা থাকে শুধু ছেলেদের হাতে, তেমনটাই দেখা গেছে।

এদিকে পরিসংখ্যানে বলা হয়, মেয়েরা দিনে ২০ হাজার শব্দ উচ্চারণ করেন যেখানে ছেলেরা মাত্র ৭ হাজার। ১৯৯৩ সালের এক ম্যারেজ কাউন্সিলের প্যামফ্লেট থেকে এই তথ্য মেলে, যদিও ওই ম্যারেজ কাউন্সিলরকে সনাক্ত করা যায়নি।

এছাড়া ২০০৭ সালের এক পরিসংখ্যান বলছে, মেয়েরা দৈনিক ১৬ হাজার শব্দ উচ্চারণ করেন আর ছেলেরা ১৫ হাজার। এখানে বড় তফাত চোখে পড়ছে না। আবার ২০০৪ সালের এক পরিসংখ্যান বলছে ক্লাসে মেয়েরা বেশি কথা বলেন, তো ওই সালেরই আরেক পরিসংখ্যানের দাবি ক্লাসে বেশি কথা বলেন ছেলেরা।

এখানে বিবাদের অবসান হতে পারে লেজারের বক্তব্য ধরেই, ছেলেরা বেশি কথা বলেন না মেয়েরা, পুরোটাই নির্ভর করে পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর।

এমএসএ