প্রযুক্তি যেমন আশীর্বাদ ঠিক মুদ্রার উল্টো পিঠের মতো এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। বিশেষ করে প্রযুক্তি আসক্তি—সবচেয়ে ক্ষতির কারণ। বড়দের সঙ্গে ছোটরাও মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে আসক্ত হয়ে পড়ছে। খেলাধুলা ফেলে মোবাইল-কম্পিউটারের পেছনে বেশি সময় দিচ্ছে শিশুরা তারা। বড়রা  জেনে বুঝে বা কাজের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করলেও ছোটরা অজান্তেই এসবে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এর ফলে এটি তাদের মধ্যে মানসিক নেতিবাচক প্রভাবও ফেলছে।

কিছু কৌশলে শিশুদের মোবাইল কিংবা কম্পিউটার থেকে দূরে রাখা যায়।

এক.
শিশুদের শারীরিক কাজ, ছবি আঁকা কিংবা বিভিন্ন খেলায় ব্যস্ত রাখুন। এজন্য বাজার থেকে এমন খেলনা আনতে পারেন যাতে শারীরিক পরিশ্রম হবে। শিশুর পছন্দ বুঝে খেলার সামগ্রী আনুন। সাইকেল এনে দিতে পারেন। এতে সৃজনশীল কাজ করার প্রতি শিশুর আগ্রহও বাড়বে।

দুই.
ছুটিতে পার্কে ঘুরত্যে নিয়ে যান। শিশুরা যত খেলাধুলা বা অন্য শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাবে, তত তার মানসিক বিকাশ ঘটবে। আর বাড়িতে বসিয়ে রাখলে ফোন, না হয় ভিডিও গেম, কম্পিউটার, টিভিতে থাকবে। এছাড়া সন্তানের সঙ্গে নিজেও সময় কাটান। ব্যাডমিন্টন খেলুন বা অন্যান্য খেলাধুলা করুন। আপনার যাওয়ার সময় না থাকলে, অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে পার্কে পাঠান।

তিন.
সন্তানের কাছ থেকে ফোন নেওয়া কিংবা টিভির সুইচ বন্ধ করার ক্ষেত্রে সহনশীল হোন। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে তাকে আদর করুন। ভালোভাবে ডেকে স্কুল বা অন্য কোনো শিশুর ভালো লাগার বিষয় নিয়ে কথা বলে তাকে ভুলিয়ে দিন। শিশুকে ভালোবেসে বোঝান এবং তার ক্ষতির কথাও তাকে জানান।

চার.
বাচ্চাদের প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখা কঠিন তবে আপনি চান না তারা সর্বদা এতে নিমগ্ন থাকুক। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা দরকার। আপনার সন্তানকে গ্যাজেট দেওয়ার বা স্মার্ট টিভি দেখার নিয়ম তৈরি করুন। এর জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন। তাকে বলুন কোন সময় থেকে এবং কতক্ষণ শিশু এগুলো ব্যবহার করতে পারবে।

পাঁচ.
বাচ্চাদের সামনে নিজেরা উদাহরণ সৃষ্টি করার জন্য নিজেরা মোবাইল-টিভি ব্যবহার করুন। নিজেরা যা করবেন, বাচ্চারা তা অনুকরণ করবে। তাই নিজেরা বই পড়ুন, বাচ্চাদের খেলায় সঙ্গ দিন।

এমএসএ