কাঁচা মরিচ খাওয়ার অনেক উপকারিতার কথা জানা আছে নিশ্চয়ই? ক্যাপসাইসিন, অ্যালকালয়েডস, ফ্ল্যাভোনয়েডস, ফেনোলিক্স, এসেনশিয়াল অয়েল, ট্যানিন, স্টেরয়েডসহ অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে এতে। আমাদের প্রতিদিনের খাবারের অংশ হয়ে কাঁচা মরিচ থাকেই। কিন্তু এই মরিচ আবার বেশি খেলে তা উপকারিতার বদলে নিয়ে আসবে অপকারিতা। তাই কাঁচা মরিচ খেতে হবে একটু রয়ে-সয়ে। নয়তো ভুক্তভোগী হতে হবে আপনাকেই। 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্যাপসাইসিন স্বাদের রিসেপ্টরগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে যা তাপমাত্রা বাড়ায় এবং মস্তিষ্কে মসলাদার তাপের সংকেত পাঠায়। যখন আমরা খুব ঝাল মরিচ খাই, তখন মস্তিষ্ক ব্যথার সংকেত পায় যার ফলে পেট খারাপ, বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খাওয়ার অসুবিধা সম্পর্কে-

অন্ত্রে ব্যথা

কাঁচা মরিচে ক্যাপসাইসিন নামক একটি যৌগ থাকে যা অন্ত্রে ব্যথার কারণ হতে পারে। তাই প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খাওয়ার ক্ষেত্রে সংযমী হতে হবে। কাঁচা মরিচ কাঁচা চিবিয়ে খেতে ভালোলাগলেও খুব বেশি খাওয়া যাবে না। নয়তো এ ধরনের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।

পাকস্থলীতে উচ্চ ফলিক অ্যাসিড

প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচ খেলে পাকস্থলীতে ফলিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনিতে ফলিক অ্যাসিড উপকারী হলেও এর উচ্চ মাত্রা ক্ষতির কারণ হতে পারে। 

উচ্চ রক্তচাপ

বর্তমানে অনেকেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। এ ধরনের সমস্যা এড়াতে খাবারের দিকে মনোযোগী হওয়া জরুরি। নয়তো উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিলে তার হাত ধরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা মরিচ বেশি খেলে এতে থাকা ক্যাপসাইসিন রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।

ঘুমের অভাব

ঘুমের সমস্যায় ভুগলে তার প্রভাব পড়ে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে। শুধু কাজ নয়, শরীরেও এর প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে তা ঘুমের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কারণ এটি শরীরে অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টি করতে পারে। এতে ঘুমে বিঘ্ন ঘটার ভয় থাকে। তাই ভালো ঘুমের জন্য কাঁচা মরিচ পরিমিত খাওয়ার অভ্যাস করুন।

অ্যাসিডিটি

অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগলে অনেক খাবারের ক্ষেত্রেই সতর্ক হতে হয়। তার মধ্যে একটি হলো কাঁচা মরিচ। এমনিতে কাঁচা মরিচ উপকারী হলেও অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন এমন কারও ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হতে পারে। কাঁচা মরিচ বেশি খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।