অফিসের পরিবেশ আপনার জন্য উপযুক্ত নয়, প্রথমদিনেই বুঝবেন যেভাবে
চাপপূর্ণ পরিবেশে কাজ করা কোনো কর্মীরই প্রত্যাশা হতে পারে না। অফিসে কাজে মনোযোগী হওয়ার জন্য চাপমুক্ত থাকা আবশ্যক।কর্মীদের জন্য কাজ করার পরিবেশ অনুপ্রেরণাদায়ক, উৎসাহজনক এবং শান্ত হওয়া উচিত। সমালোচনার মধ্যে কাজ করা, চরম চাপ কখনই যুক্তিযুক্ত নয়। তাই আপনার সব সময় এমন লক্ষণের দিকে নজর দেওয়া উচিত। অফিসে প্রথমদিন কাজ করতে গিয়েই আপনি কিছু বিষয় বুঝতে পারবেন। যদিও একদিনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। তবু শুরুতেই কিছু ধারণা পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
আপনাকে কোনো কাজেই যুক্ত করা হয় না
বিজ্ঞাপন
প্রথম দিনে আপনার নতুন সহকর্মী এবং ব্যবস্থাপকের উচিত এমন কিছু করা যাতে আপনি স্বাগত বোধ করেন। নতুন কাজগুলোতে আপনাকে তাদের সঙ্গে নেওয়া উচিত। প্রথম দিনেই যদি একা বোধ করেন তাহলে সতর্ক হোন। যদি আপনার কর্মক্ষেত্র তাদের নতুন কর্মীকে প্রথম দিনেই যত্ন না করে, তাহলে বুঝে নেবেন সেখানে সমস্যা আছে।
অভদ্র আচরণ
আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে সহকর্মীদের মধ্যে ইমেইল, চ্যাট এবং এমনকী কথা বলার সময়ও প্রচুর কটূক্তি এবং অভদ্র আচরণ চলছে, তবে এটি একটি লক্ষণ যে আপনার বস কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের আচরণ বন্ধ করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেন না এবং এটাই তাদের কাছে স্বাভাবিক।
গসিপ করলে
গসিপ আপনার কর্মক্ষেত্রে চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে তা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। কর্মক্ষেত্রে অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা থাকা উচিত নয়। অনেকেই হয়তো এই ধরনের আচরণে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। গসিপ এবং গুজবকে চারপাশে উড়তে দেওয়া অবশ্যই ভালো জিনিস নয়।
কাজগুলো আলাদা
আপনি যে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন, চাকরি পাওয়ার পর দেখা গেল কাজ আসলে সেটি নয়। এমন কোনো কাজ আপনাকে করতে দেওয়া হলো, যার সঙ্গে আপনার আবেদন করা কাজটির কোনো মিলই নেই। আপনার প্রত্যাশিত চাকরির বদলে যদি সম্পূর্ণ আলাদা কোনো চাকরি করতে দেওয়া হয় তবে সতর্ক হোন। হতে পারে এটি আপনার জন্য উপযুক্ত নয়।
পরের দিন নিয়ে ভয়
আপনি যদি প্রথম দিনে আপনার কাজ শেষ করেন এবং পরবর্তীতে কী ঘটবে তা নিয়ে আতঙ্কিত হন, তবে এই চাকরি আপনার জন্য মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। আপনার প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তিতে ব্যাপক ঘাটতি থাকলে সতর্ক হোন। অতিরিক্ত চাপ কিংবা দুশ্চিন্তা নিয়ে কাজ করা আপনার জন্য যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে।