দিনের শুরুটা দেখেই নাকি পুরো দিনটা কেমন যাবে তার ধারণা পাওয়া যায়। ধরুন, আপনার ঘুম ভাঙলো তীব্র মাথা নিয়ে। এরকমটা তো হয় অনেকের ক্ষেত্রেই। এরপর সারাদিন কেমন যাবে তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না? ঘুম ভাঙার পর সতেজভাবটা না থেকে যদি সেই জায়গা দখল করে নেয় মাথা ব্যথা, তাহলে সতর্ক হোন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মর্নিং হেডেকের কারণ হিসেবে সাধারণত মাইগ্রেন দায়ী হতে পারে। ব্যথা কমানোর জন্য যখন তখন পেইনকিলার খেতে যাবেন না যেন। তাতে আরও বেশি ভুগতে হতে পারে। এর বদলে বেছে নিন ঘরোয়া উপায়-

আদা চা

তীব্র মাথা ব্যথায় কষ্ট পেলে দ্রুত এককাপ আদা চা বানিয়ে তাতে চুমুক দিন। এতে মাথা ব্যথা কমে যাবে সহজেই। এমনটা প্রমাণও মিলেছে ২০১৩ সালের একটি গবেষণায়। কেবল আদা চা-ই নয়, মধু-তুলসীর চা খেলেও সমান উপকার পাবেন। তাই সকালে মাথা ব্যথা দূর করার জন্য এ জাতীয় চায়ের ওপর আস্থা রাখতেই পারেন।

গরম সেঁক

সকালে ঘুম ভাঙার পরপরই যদি মাথা খুব বেশি ব্যথা করে তবে গরম সেঁক নিন। এতে সেই অংশে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। সেইসঙ্গে ব্রেন মাসল রিল্যাক্স হওয়ারও সুযোগ পাবে। যে কারণে ব্যথা কমে আসবে কিছুক্ষণের মধ্যেই। তবে গরম সেঁক যেন অতিরিক্ত গরম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

এক্সারসাইজ

নিয়মিত এক্সারসাইজ করার অনেক উপকারিতা। এর মধ্যে একটি হলো এটি মাথা ব্যথা দূর করতে কাজ করে। এক্সারসাইজের ফলে পুরো শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কেও রক্তপ্রবাহ বাড়ে। এ কারণে মাথা ব্যথার প্রকোপ কমে আসে খুব সহজেই। যাদের সকালে ঘুম ভাঙার পরেই মাথা ব্যথা শুরু হয় তারা প্রতিদিন আধা ঘণ্টা সময় নিয়ে ব্যায়াম করবেন। আর কিছু না পারলে অন্তত জোর কদমে হাঁটার চেষ্টা করুন। এতে অনেক উপকার পাবেন।

ম্যাসাজ

মাথা ব্যথা দূর করার অন্যতম ঘরোয়া উপায় হতে পারে ম্যাসাজ। ব্যথা কমাতে চাইলে নির্দিষ্ট অংশে মিনিট দশেক ম্যাসাজ করুন। এতে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। যে কারণে সকালে মাথা ব্যথার সমস্যা অনেকটাই কমে আসে। সেইসঙ্গে দিনে দুই-তিন লিটার পানি পান করুন। এতে উপকার পাবেন।