ছবি : সংগৃহীত

সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত মৌসুমী ফল খেতে হবে। এই সময়ে বাজারে পাওয়া যায় পেয়ারা। এটি স্বাদ এবং পুষ্টিতে অনন্য। পেয়ারায় থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং পটাসিয়াম। এতে ক্যালরি থাকে কম এবং ফাইবার থাকে বেশি। নিয়মিত পেয়ারা খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে উপকারী ফল পেয়ারা। এটি ভিটামিন সি-এর অন্যতম ‍উৎস। কমলার চেয়ে দ্বিগুণ ভিটামিন সি থাকে। এই ভিটামিন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে তা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে কাজ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেতে হবে।

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী

খেতে মিষ্টি হলেও পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এটি ফাইবারের ভালো উৎস। সেইসঙ্গে এর গ্লাইসেমিক সূচকও কম। যে কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়। কম গ্লাইসেমিক সূচক চিনির মাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করে। পেয়ারায় থাকা ফাইবার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

হার্ট সুস্থ রাখে

হার্ট সুস্থ রাখতে কাজ করে পেয়ারা। এতে প্রচুর পটাসিয়াম এবং সোডিয়াম পাওয়া যায়। এই ‍দুই উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের আগে পাকা পেয়ারা খেলে তা রক্তচাপ কমাতে কাজ করে। এটি উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। পেয়ারা খেলে উপকারী কোলেস্টেরল বেড়ে যায় ৮ শতাংশ। এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো। পেয়ারা পাতার নির্যাসও হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।

ওজন কমাতে কাজ করে

ওজন কমাতে দারুণ কার্যকরী পেয়ারা। এই ফল আমাদের বিপাক ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন গ্রহণের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই চিনিযুক্ত পানীয় বা খাবারের বদলে পেয়ারা পাতার চা এবং পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে দ্রুত ওজন কমবে। পেয়ারায় ক্যালরি কম থাকে ঠিকই তবে এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে।