দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে চাইলেও সে আপনার থেকে দূরে থাকতে চাইবে না। সবাই ছেড়ে গেলেও সে আপনাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইবে। এই এক জিনিস যা আপনি না চাইলেও আপনার সঙ্গে সঙ্গে থাকবে। প্রতিদিন নানা চাপ সামলাতে গিয়ে কখন যে আপনি দুশ্চিন্তায় পড়ে যান, তা নিজেও হয়তো টের পান না। 

দুশ্চিন্তা লালন করতে গেলে তা আপনার শরীর, মন সবকিছুর ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এর থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে। নয়তো এই অদৃশ্য শত্রু আপনাকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে দেবে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব। সেইসঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে খাবারের দিকেও। দিনের শুরুতে ছোট্ট একটি কাজ আপনাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

দুশ্চিন্তা কমাতে দিনের শুরুটা করুন ছোট্ট একটি কাজের মাধ্যমে। প্রতিদিন সকালে দুধ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তবে শুধু দুধ খেলেই হবে না। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে বাদাম। আর এই ছোট্ট কাজটি আপনাকে দারুণভাবে উপকৃত করবে। দুধের অপরিহার্য উপাদান ল্যাকটোজ, যা দৈহিক গঠন, বিকাশ ও মেধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে আরও আছে অ্যামাইনো এসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খনিজ পদার্থ, যেমন- ক্রোমিয়াম, ম্যাংগানিজ, আয়রন,কোবাল্ট, কপার, জিংক, আয়োডিন ও সেলিনিয়াম।

এদিকে বাদাম খাওয়ার উপকারিতাও কম নয়। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিটামিন ই কম থাকলে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে। তাই এই ভিটামিন শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন সকালে দুধের সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে খেলে উপকারিতা পাবেন দ্রুতই।

নিয়মিত বাদাম খেলে এতে থাকা ভিটামিন ই আপনার দুশ্চিন্তা কমিয়ে দেবে। সেইসঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও একই কাজ করে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে কাজ করে। ছোট্ট এই শুকনো ফল আপনাকে নানাভাবে উপকারিতা দেবে। তাই প্রতিদিন সকালে দুধের সঙ্গে একমুঠো বাদাম মিশিয়ে খেতে ভুলবেন না। 

দুশ্চিন্তা বৃদ্ধির আরেক কারণ হলো অতিরিক্ত ওজন। আপনার বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলতেও দারুণভাবে কাজ করে বাদাম। এটি খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। যে কারণে বার বার ক্ষুধা পাওয়ার সমস্যা কমে আসে। এতে বাড়তি খাবার খাওয়ার ভয় থাকে না। ফলে অতিরিক্ত ওজনও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।