রান্নার সময় অনেকের হাঁড়ির নিচে খাবার লেগে যায়। কখনো পুড়ে গিয়ে দাগ পড়ে যায়। অনেক সময় বেশি পুরে গেলে সেই দাগ ওঠানো মুশকিল হয়ে যায়। বারবার মাজলেও সেই দাগ ওঠে না। দামি লিক্যুইড সাবান, স্ক্রাবার দিয়ে বাসন মেজেও এই দাগ তোলা যায় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। তবে আপনি জানেন কি, কোনো ধরনের খরচ ছাড়াই এই দাগ তুলে ফেলা সম্ভব?

রাঁধতে গিয়ে খাবার পুড়ে যেতেই পারে। সেই পোড়া দাগ তুলতে না পারলে মন খারাপ করবেন না। কিছু সহজ উপায় আছে যেগুলো মেনে চললে আপনি খুব সহজেই হাঁড়ির পোড়া দাগ তুলে ফেলতে পারবেন। তাতে আপনার হাঁড়ি-কড়াই আবার আগের মতোই চকচকে হয়ে উঠবে। কীভাবে করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

বালির ব্যবহার

বালি নানা কাজে লাগে। এটি যেমন বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তেমনই নানা খাবার তৈরির ক্ষেত্রে তাপ দেওয়ার জন্যও কাজে লাগানো হয়। কড়াইতে বালি দিয়ে কেক তৈরি কিংবা বাদাম ভাজার কাজে লাগান অনেকে। আগে গ্রামে বাসন মাজার ক্ষেত্রেও বালি ব্যবহার করা হতো। এই বালির বৈশিষ্ট্য খড়খড়ে ধরনের বলে তা স্ক্রাবারের মতো কাজ করে। এতে হাঁড়ির পোড়া দাগ তুলে ফেলা সহজ হয়। হাতের কাছে যদি বালি না থাকে তবে এর বদলে লবণও ব্যবহার করতে পারেন।

টক জিনিস ব্যবহার

টক জাতীয় খাবার খেতেই কেবল ভালো নয়, এগুলো বিভিন্ন কাজেও লাগে। বিশেষ করে বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে এ ধরনের জিনিস ভীষণ কার্যকরী। এক্ষেত্রে লেবু বা ভিনেগার কাজে লাগানো যেতে পারে। তাতে হাঁড়ি কড়াই পরিষ্কার তো হবেই, সেইসঙ্গে বাসনের আঁশটে গন্ধও পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে।

বেকিং সোডা

বেকিং সোডা খাবার মচমচে করতে কাজ করে। শুধু তাই নয়, এটি ব্যবহার করা যায় আরও অনেক কাজে। এটি ব্যবহার করা যায় হাঁড়ি-কড়াইয়ের পোড়া ভাব দূর করার কাজেও। সেক্ষেত্রে পাত্রটি আগে ভিজিয়ে নিয়ে তাতে বেকিং সোডা মেখে রেখে দিতে হবে অন্তত মিনিট পনেরো। এরপর ভালো করে মেজে ধুয়ে নিতে হবে।