আমাদের প্রতিদিনের খাবারে যেসব সবজি থাকে, তার মধ্যে বেগুন অন্যতম। সহজে কাটা ও রান্না করা যায় বলে এর কদর সব জায়গায়। শুধু রান্না করাই সহজ নয়, এটি খেতেও সুস্বাদু। বেগুন দিয়ে তৈরি করা যায় নানা স্বাদের খাবার। বেগুন ভাজা, বেগুন ভর্তা, বেগুনের তরকারি- কতভাবেই না খাওয়া যায়! পুষ্টিগুণে ভরা এই সবজির উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক বেগুন খেলে শরীরে কী উপকার ঘটে-

ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম এবং কপারের সমৃদ্ধ উৎস হলো বেগুন। এসব উপাদান হাড় সুস্থ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেইসঙ্গে হাড়ে খনিজের ঘনত্বও উন্নত করে। বিশেষ করে শিশুদের খাবারের তালিকায় নিয়মিত বেগুন রাখলে দারুণ উপকার পাবেন। তবে বেগুন থেকে যদি শিশুর শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে এই সবজি খাওয়ানো বন্ধ রাখুন।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বেগুন। কারণ বেগুনে থাকে প্রচুর ফাইবার, যা অক্ষতভাবে পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যায়। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা যাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তারা নিয়মিত বেগুন রাখুন খাবারের তালিকায়। এতে অন্যান্য উপকারের পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে দূরে থাকবে ডায়াবেটিসও।

পলিফেনল বা প্রাকৃতিক উদ্ভিদ যৌগ পাওয়া যায় বেগুনে। এসব উপাদান শরীরে চিনির শোষণ কমায় এবং ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়, এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেগুনের ভূমিকা তাই মূখ্য।

বেগুনে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন নামক যৌগ। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত এক ধরনের রঙ্গক যা থেকে বেগুনের রং ফুটে ওঠে। এই যৌগ বিশেষভাবে উপকারী। কারণ এটি কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। এই সবজিতে অনেক বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ থাকে। যেগুলো ক্যান্সার কোষের সঙ্গে লড়াইয়ে সাহায্য করে। বেগুনে সোলাসোডিন র‌্যামনোসিল গ্লাইকোসাইডস (এসআরজি) নামক একটি যৌগ টিউমার কোষকে মেরে ফেলতে এবং নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি কমাতে পারে।

হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে