করলা খাওয়ার উপকারিতা
তেতো স্বাদ বলে অনেকে দূরে থাকেন, অনেকে আবার ভালোবেসে খান এই সবজি। বলছি করলার কথা। স্বাদে যত তেতো হোক না কেন, উপকারিতায় কিন্তু অনন্য। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এবং আমাদের শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে এই সবজি। করলায় থাকে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করার উপাদান। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলা হতে পারে উপকারী একটি সবজি। আবার মধু ও পানির সঙ্গে করলার রস মিশিয়ে খেলে মুক্তি পাবেন অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসরোগ ও গলার প্রদাহের মতো সমস্যা থেকে।
বিজ্ঞাপন
হজম ভালো করে
হজমের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ কমই আছে। খাবারের বিভিন্ন সমস্যার কারণে এমনটা হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি নিয়মিত করলা খান তাহলে হজমক্ষমতা উন্নত হবে। কারণ হজমের কাজে দারুণভাবে সাহায্য করে এই সবজি। যদি একটু কষ্ট করে করলার জুস খেতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। হজমসহ আরও অনেক সমস্যা দ্রুত উধাও হবে। এতগুলো উপকার পাওয়ার জন্য একটু তেতো স্বাদ তো নেওয়াই যায়, তাই না?
সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে
রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। নয়তো ডায়াবেটিসসহ আরও অনেক সমস্যা ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করবে। আপনি যদি অতিরিক্ত সুগারের সমস্যায় ভোগেন তাহলে অনেক খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ থাকবে। তবে যদি নিয়মিত করলার রস খেতে পারেন, তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত খেতে পারেন করলা। কারণ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী এই সবজি। করলায় ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। সেইসঙ্গে চর্বি ঝরাতেও সাহায্য করে এই সবজি। তাই নিয়মিত করলা খেলে বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
ভালো রাখে লিভার
সুস্থ থাকার জন্য লিভার ভালো রাখা জরুরি। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে করলা। কারণ লিভারের ভেতরে জমে থাকা টক্সিন ছেঁকে বের করতে সাহায্য করে এই সবজির রস। করলায় থাকা পুষ্টিগুণ লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ফলে দূরে থাকে লিভারের নানা অসুখও।