ত্বক ফর্সা করার ৩ খাবার
আমরা সবাই উজ্জ্বল ও সতেজ ত্বক চাই। বাজারে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালযুক্ত পণ্য আপনাকে সুন্দর ত্বকের প্রলোভন দেখাবে ঠিকই, তবে সঠিকভাবে যত্ন নেওয়ার উপাদানগুলো পাবেন আপনার রান্নাঘরেই। যদিও ত্বকের যত্নের রুটিন গুরুত্বপূর্ণ, উজ্জ্বল ত্বকের যাত্রা শুরু হয় ভেতর থেকেই। ভারতের ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট প্রাচি শাহ স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য তিনটি ডায়েট টিপস প্রকাশ করেছেন, আমাদের খাদ্যতালিকা থেকে পুষ্টি গ্রহণ করা- আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়। পুষ্টিবিদ প্রাচি শাহ তার পোস্টে বলেছেন, ‘হাইড্রেটেড থাকা ছাড়াও, আপনার ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে আপনি আজ থেকে তিনটি জিনিস করা শুরু করতে পারেন।’ স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য এই ৩ ডায়েট টিপস আপনাকে অবশ্যই ডায়েটে যোগ করতে হবে-
বিজ্ঞাপন
গ্রিন জুস
গ্রিন জুস কেবল ইনস্টাগ্রামের জন্য ট্রেন্ডি পোস্ট নয়; এটি ত্বকের জন্য পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস। শাক-সবজি এবং ফলের তাজা রস ডিটক্সিফাইং করতে সাহায্য করে। এর ফাইবার এবং ভিটামিন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। পালং শাক, শসা, ধনে পাতা এবং লেবুর রসের মিশ্রণ নিয়মিত পান করলে ত্বক সুন্দর রাখা সহজ হবে। ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সংমিশ্রণ একটি প্রাকৃতিক বুস্টার হিসেবে কাজ করে যা ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। গ্রিন জুস খেলে তা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
কমলা
কমলা আপনার ত্বক উন্নত করার জন্য একটি ভাণ্ডার। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ত্বকের সেরা বন্ধু। প্রাচি শাহ কমলা খাওয়ার প্রাথমিক সুবিধা শেয়ার করে বলেছেন- ‘কমলায় রয়েছে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি, যা আপনার ত্বকে রক্ত প্রবাহের ভারসাম্য বজায় রাখে, ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ব্রণের দাগ কমায়।’ এই ফলে থাকা ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যে কারণে অকালে বার্ধক্য, বলিরেখা এবং ত্বক কুঁচকে যাওয়া রোধ করা সম্ভব হয়। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। কোলাজেন হলো কাঠামোগত প্রোটিন যা ত্বককে দৃঢ় করে এবং তারুণ্য বজায় রাখে। প্রতিদিন কমলা খেলে আপনি নরম, কোমল এবং সুন্দরভাবে ময়শ্চারাইজড ত্বক পাবেন।
বাদাম
নিয়মিত বাদাম খেলে আপনি ত্বকের পরিবর্তনটা নিজেই টের পাবেন। প্রাচি শাহ বলেন- ‘এই সুপার স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ চর্বি এবং ওমেগা-৩ জোগায়।’ ওমেগা-৩ আপনার ত্বকের কোষগুলোর জন্য চূড়ান্ত হাইড্রেশন হিসাবে কাজ করে, একটি প্রতিরক্ষামূলক বাধা তৈরি করে যা আর্দ্রতাকে আটকে রাখে, সেইসঙ্গে শুষ্কতা এবং ক্ষীণতা দূর করে। বাদামে থাকা ভিটামিন ই ইউভি ক্ষতির বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা হিসাবে কাজ করে। যদিও এটি সানস্ক্রিনের বিকল্প নয়, তবে ডায়েটে বাদাম রাখলে তা সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির বিরুদ্ধে সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তর তৈরি করতে পারে। এছাড়াও বাদাম জিঙ্কের একটি উৎস। যা কোলাজেনের মাত্রা বজায় রাখতে এবং ত্বকের মেরামতের জন্য একটি অপরিহার্য খনিজ।