যেসব খাবার খাওয়ার পরে ফল খাবেন না
ফল খাওয়া উপকারী একথা সবারই জানা। নিয়মিত ফল খেলে বাঁচা যায় বিভিন্ন অসুখ থেকে। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ফল আমাদের শরীরের নানা উপকার করে থাকে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ফল রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে এটি কাজ করে। এছাড়াও এতে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার। এই দুই উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। কিন্তু আপনি যদি কিছু খাবার খাওয়ার পর বা তার সঙ্গে ফল খান তাহলে উপকারের বদলি ক্ষতি হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মুড়ির সঙ্গে কলা খাবেন না
বিজ্ঞাপন
সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কলা খেলে শরীরের এনার্জির ঘাটতি দ্রুত মেটানো সম্ভব। অনেকে কলা ও মুড়ি একসঙ্গে খেয়ে থাকেন। এই অভ্যাস বদলাতে হবে। কারণ মুড়ির সঙ্গে কলা খেলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেড়ে যায় কয়েকগুণ। পেট ভরে মুড়ি খাওয়ার পরও কলা খেলে সমস্যা হতে পারে। দ্রুত বেড়ে যেতে পারে রক্তে সুগারের মাত্রা। তাই মুড়ি ও কলা একসঙ্গে খাবেন না।
ভাত খাওয়ার পর আম খাবেন না
অনেকেই ভাত বা রুটি খাওয়ার পর আম খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ভাতের সঙ্গেই আম খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এই অভ্যাসগুলো শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ভাত ও রুটির মতো কার্বযুক্ত খাবারের সঙ্গে আম খেলে সুগার লেভেল দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। তাই এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর আম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন।
দুধ খাওয়ার পর
দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর সাইট্রিক জাতীয় ফল একেবারেই খাবেন না। কারণ তাতে দুধের পিএইচ ইনব্যালেন্স হয়। সহজ করে বললে- দুধ কেটে যায়। এ কারণে গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ একাধিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। তাই দুধ পান করার পর এ ধরনের অ্যাসিডিক ফ্রুট থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
মসলাদার খাবার খাওয়ার পর
মসলাদার খাবার খাওয়ার পর ডায়েটে ব্যালান্স আনার জন্য অনেকে ফল খেয়ে থাকেন। কিন্তু তাতে উপকারের বদলে ক্ষতি বেশি হয়। কারণ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার পেট ভরে খাওয়ার পর ফল খেলে কোনো পুষ্টিগুণই পাওয়া যায় না। বরং তাতে পেটের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ভয় থেকে যায়।
ভরা পেটে বেদানা খাবেন না
বেদানা খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতা। হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে অনেকে বেদানা খেয়ে থাকেন। কিন্তু খাওয়ার পরপরই বেদানা খেলে উপকার মিলবে না। বরং খাওয়ার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা পর বেদানা খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে উপকার পাবেন।