সাধ্যের মধ্যে যত রকম প্রসাধনী রয়েছে, প্রায় সবই এক বার করে মেখে ফেলেছেন। সুন্দর, নিটোল, ব্রণহীন, দাগ-ছোপহীন ত্বক পাওয়ার ইচ্ছে থাকে সবারই। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেই তো আর তা পূরণ হয় না। নামিদামি প্রসাধনী মেখেও সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করলেই যে ত্বক ভালো থাকবে এমনটা নয়। সেই প্রসাধনীগুলো ত্বকে মাখার পর ঠিকমতো কাজ করতে পারছে কি না, তা দেখা জরুরি। সারা দিন বাইরে থেকে ঘুরে তেল, ধুলো-ময়লা জমে থাকা মুখে যতই নামিদামি প্রসাধনী মাখুন না কেন, তা কোনও উপকারেই আসবে না। তাই ত্বক ভালো রাখতে নিয়ম মেনে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।

দিনে দু’বার
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে অন্ততপক্ষে দিনে দু’বার মুখ পরিষ্কার করতেই হবে। অনেকেই মনে করেন, রাতে মুখ পরিষ্কার করেই ঘুমাতে গিয়েছেন। তা হলে ঘুম থেকে উঠে আবার মুখ পরিষ্কার করার প্রয়োজন কোথায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে ঘুমের মধ্যেও ত্বকের গ্রন্থি থেকে সেবাম উৎপন্ন হয়। তার ওপর কোনও প্রসাধনী মাখলে তা কোনও কাজে আসবে না। তাই মুখ পরিষ্কার করতেই হবে।

উষ্ণ গরম পানি
মুখ পরিষ্কার করতে ঠান্ডা বা গরম নয়, ঈষদুষ্ণ পানি ব্যবহার করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। খুব গরম পাসি ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। আবার ঠান্ডা পানির ব্যবহারে ত্বক থেকে তেল বা ধুলো-ময়লা পুরোপুরি পরিষ্কার হতে পারে না।

কোমল হাতে
সারা দিন কাজ করার পর রাতে মুখ পরিষ্কার করার সময়ে অনেকেই অধৈর্য হয়ে পড়েন। তাড়াতাড়ি কাজ সারার জন্যে যা হোক করে মুখে ফেসওয়াশ মেখে, ধুয়ে নেন। অনেকে আবার মুখ থেকে ধুলো-ময়লা তোলার জন্যে শক্ত হাতে মুখে স্ক্রাব ঘষেন। যার ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মেকআপ তুলতে হবে
বাড়ি ফিরে ক্লান্ত লাগলেও মুখে মেকআপ তুলতে হবে। মেকআপের এতটুকু অংশ যেন মুখে লেগে না থাকে। না হলে ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলো বন্ধ হয়ে সেখানে ব্রণ দেখা দিতেই পারে।

ময়েশ্চারাইজার
তবে মুখ পরিষ্কার করার পরে কিন্তু ময়েশ্চারাইজার মাখতে ভুলবেন না। ফেসওয়াশ যতই মাইল্ড হোক, তা ত্বকের স্বাভাবিক তেলের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমিয়ে দেয়। ফলে আর্দ্রতার অভাব হতেই পারে। তাই মুখ ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুখে ময়েশ্চারাইজার মেখে নেওয়া জরুরি।

সূত্র : আনন্দবাজার

জেডএস