ভালোবাসার মানুষটিকে নিজের করে পাওয়াটা এক সময় থাকে স্বপ্ন। এরপর তা সত্যি হলে শুরুটা যেন রূপকথার মতো মনে হয়। হাতে হাত রেখে পাড়ি দিয়ে মন চায় গোটা একটা জীবন। চোখে চোখ রেখে কাটিয়ে দিতে মন চায় দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী। কিন্তু সেই ভালোবাসাও ম্লান হয়ে যেতে পারে। আসতে পারে ক্লান্তি। একটা সময় মনে হতে পারে, আর সম্ভব নয়। সব পথচলা যে গন্তব্য খুঁজে পায়, এমন নয়। কিছু পথচলা মাঝপথেই থেমে যায়। ভালোবেসে বিয়ে করেও সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে না কেউ কেউ। কেন ভেঙে যায় ভালোবাসার সংসার?

সময় না দিলে

বর্তমানে বেশিরভাগ দম্পতিই চাকরিজীবী। যে কারণে দিনের বেশিরভাগ সময়ই তারা বাইরে থাকেন। এরপর বাড়িতে ফিরে দু’জনেই ক্লান্ত। পরস্পরের জন্য সময় বের করা তাদের জন্য মুশকিল হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর এই সময় না দেওয়াটাই অনেক সময় কাল হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘদিন পরস্পর ভালো সময় না কাটালে একটা পর্যায়ে সম্পর্কে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। সেখান থেকে সম্পর্ক আগাতে পারে ভাঙনের দিকে।

অবহেলা

মানুষ কোনোকিছু পেয়ে গেলে আর আগের মতো গুরুত্ব দিতে জানে না। তখন মনে হয়, পাওয়া তো হয়েই গেছে তাহলে আর ধরে রাখতে হবে কেন! কিন্তু এই ধরে রাখতে না চাওয়ার অভ্যাসই অবহেলা হয়ে ধরা দেয় অপরজনের কাছে। অবহেলা বাড়তে থাকলে একটা সময় সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়তে পারে। মানুষ যখন সঙ্গীর কাছে নিজের গুরুত্ব খুঁজে পায় না, তখন নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। এভাবেই সম্পর্কটি বিচ্ছেদের পথে পা বাড়াতে পারে।

বাবা-মায়ের হস্তক্ষেপ​

বাবা-মা শ্রদ্ধেয়। তাদের ভালো পরামর্শ আমাদের জীবনের আশীর্বাদ। কিন্তু তারা যদি আপনার দাম্পত্য সম্পর্কেও হস্তক্ষেপ করেন, এটি হতে পারে আপনাদের জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ কোনো সম্পর্কই অন্য কারও মনের মতো চলতে পারে না। যদি তাদের মন যোগাতে গিয়ে আপনাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে, তবে সতর্ক হোন। হতে পারে একটা সময় এই দূরত্বই আপনাদের আলাদা করে ফেলবে।

অকারণে ঝগড়া

দাম্পত্য সম্পর্কে ঝগড়া হবেই। কিন্তু তা যদি প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়ায় তবে তো মুশকিল। মানুষ শান্তিতে থাকার জন্য বিয়ে করে। কিন্তু সেই বিয়েই যদি হয় অশান্তির কারণ, তখন যাবে কোথায়? প্রতিদিনের ঝগড়া আপনাদের সম্পর্কের ভেতরে ঘৃণার বীজ বুনে দিতে পারে। এরপর একটা সময় পারস্পারিক আর কোনো সম্মানবোধই থাকবে না। সম্মান না থাকলে সেই সম্পর্ক আর কীসের ওপর ভর করে টিকে থাকবে?

রোমান্টিকতা কমে গেলে

প্রেমের সময় যেমন ছিল, বিয়ের পরে আর তেমন রোমান্টিকতা ধরে রাখতে পারেন না অনেকেই। এটি আসলে সম্ভবও নয়। কারণ বিয়ের পরে অনেক ধরনের বাস্তবতা এসে ভীড় করে। তবু তার মাঝেই যতটা সম্ভব রোমান্টিকতা ধরে রাখতে হবে। নিজেদের ভেতরে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য রোমান্টিক হোন। এটি দাম্পত্য জীবন সুন্দর রাখতে কাজ করে। আর নয়তো রোমান্টিকতার অভাবে একটা সময় বাড়তে থাকবে দূরত্ব।