কাগজে-কলমে গ্রীষ্ম এখনও শুরু হয়নি, কিন্তু প্রকৃতি তীব্র গরমের জানান দিচ্ছে ঠিকই। এবার শুধু গরম নয়, সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে শুষ্কতা। ত্বকের চামড়া ফেটে যাওয়া, বারবার তৃষ্ণা পাওয়াসহ আরও অনেক অসুবিধা দেখা দিচ্ছে। এসময় ওরাল স্যালাইন, লেবুর শরবত, ডাবের পানি, ফলের রস বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরে রোদ ও গরমের ভেতরেই বের হতে হচ্ছে নানা প্রয়োজনে। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণের ভয়ে মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে গরমে নাজেহাল অবস্থা। এমন অবস্থায় শরীর ঠান্ডা রাখার বিকল্প নেই। যতটা সম্ভব গরম কমানোর জন্য জেনে নিন কিছু উপায়-

অনেকে গরম পড়তে শুরু করলে শরীরচর্চা বন্ধ করে দেন। কিন্তু এটি মোটেই ঠিক নয়। কারণ নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীর ভেতর থেকে ভালো থাকে। তাই গরমের ভয়ে বাইরে না গেলে ঘরের ভেতরেই শরীরচর্চার ব্যবস্থা করুন। সকাল অথবা সন্ধ্যার যেকোনো একটি সময় বেছে নিন শরীরচর্চার জন্য। সুস্থ থাকতে চাইলে শরীরচর্চা বাদ দেওয়া যাবে না।

এই গরমে ফিটিং পোশাক এড়িয়ে চলুন। কারণ গরমে ফিটিং পোশাক পরলে স্বস্তি লাগবে না। এখন ঢিলেঢালা পোশাক পরারই ট্রেন্ড। পরতে পারেন ঢিলেঢালা কুর্তি বা টি শার্ট। সুতির জামা এসময়ে বেশি আরামদায়ক। 

এসময় ভুলেও সিন্থেটিক কিংবা মিক্সড কটন কাপড়ের পোশাক পরতে যাবেন না। কারণ গরমে এ ধরনের কাপড়ের পোশাক পরলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসময় ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক হলো সুতির পোশাক। তাই গরমে সুতির ও হালকা রঙের পোশাক ব্যবহার করুন। 

যাদের অফিসে গিয়ে কাজ করতে হয় না, বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগ আছে তারা চেষ্টা করুন ঠান্ডা কোনো স্থানে বসার। বাড়িতে এসি বা এয়ার কুলার থাকলে সেখানে বসার চেষ্টা করুন। আর যদি না থাকে তবে ফ্যান আছে এমন কক্ষে বসুন। বাড়ির জানালা খুলে রাখুন যেন বাতাস চলাচল করতে পারে। 

ঠান্ডা লাগার সমস্যা না থাকলে দিনে দুই-তিনবার গোসল করুন। এতে অনেকটাই সতেজ অনুভব করবেন। ঘাম ধুয়ে যাওয়ার কারণে শরীর ঠান্ডা থাকবে। ত্বকে গরমের উপযোগী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। টোনার রাখুন সঙ্গে। প্রয়োজন হলে ব্যবহার করুন। 

রোদে বের হলে মাথা ঢেকে বের হোন। এতে রোদের হাত থেকে রেহাই পাবেন অনেকটাই। সঙ্গে রাখুন ছাতা আর সানগ্লাস। হাত-পা ঢাকা পোশাক পরতে পারেন। এতে ত্বকে রোদের কারণে পোড়াভাব কম হবে। জুতার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন পা ঢাকা জুতা।

বেশি বেশি পানি পান করুন। পানি রয়েছে এমন সব খাবার বেশি খান। ঠান্ডা পানির সঙ্গে লেবু ও শসার টুকরো মিশিয়ে ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করে খেতে পারেন। বাড়িতে তৈরি স্মুদি, জুস ইত্যাদিও খেতে পারেন। পুদিনার শরবত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। টক দই, ঘোল ইত্যাদিও খেতে পারেন। 

এইচএন/এএ