পিরিয়ডের ব্যথায় কি আপনিও ভুগে থাকেন? তার আগে বলুন, আপনি কি বাইরের খাবার খেতেই বেশি পছন্দ করেন? মশলাদার, চটপটা স্বাদই আপনার মুখে বেশি ভালোলাগে? এদিকে ডায়েটিশিয়ানরা সুষম এবং স্বাস্থ্যকর পদ্ধতির জন্য বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। বাড়িতে রান্না করা খাবার প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। সেইসঙ্গে এগুলো পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন এবং সম্ভাব্য দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর ইনস্টাগ্রামে একটি রিল শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে তিনি পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য কিছু চমৎকার টিপস দিয়েছেন। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে রুজুতা দিবাকরের ৫টি টিপস চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ভেজানো কিশমিশ এবং জাফরান

পিরিয়ডের এক সপ্তাহ আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ এবং জাফরান খান। এতে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।এই সহজ কিন্তু কার্যকরী খাবারটি খেতে হবে প্রতিদিন সকালে। কিশমিশ সারারাত ভিজিয়ে রাখলে তা আরও বেশি সুস্বাদু হয়, এর সঙ্গে জাফরান মেশালে তা আরও বেশি পুষ্টিকর হয়ে ওঠে।

ডাল

প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ডাল খাবারের তালিকায় রাখলে তা আপনার খাবারকে পুষ্টির সম্পূর্ণ নতুন স্তরে উন্নীত করে। অঙ্কুরিত ডাল খেতে পারলে তা আরও বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা দেবে। ডালের পুষ্টি উপাদান আপনাকে ‍সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

মাটির নিচের সবজি

সপ্তাহে অন্তত দুইবার আপনার খাবারে শালগম, মিষ্টি আলু এবং গাজরের মতো মাটির নিচের সবজি রাখুন। এ ধরনের সবজি ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে।

সুপ্তবধ কোনাসন

পিরিয়ডের সময় সুপ্তবধ কোনাসনের মতো প্রশান্তিদায়ক এক্সারসাইজ করুন। এই মৃদু যোগব্যায়াম মাসের এই সময়ে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্বস্তি এবং আরাম প্রদান করতে পারে।

নিয়মিত ব্যায়াম

পিরিয়ডের ব্যথাকে জয় করতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট শারীরিক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত থাকুন। এটি পিরিয়ডের সময় আপনাকে অনেকটা স্বস্তি দেবে। পরিবর্তন দেখলে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।