বর্ষাকালে ভিটামিন ডি কীভাবে পাবেন?
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য একটি অপরিহার্য পুষ্টি। এটি ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে, যা শক্তিশালী হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর মধ্যে একটি। এছাড়া পেশী শিথিল রাখার জন্যও ভিটামিন ডি প্রয়োজন। এছাড়া আমাদের মস্তিষ্ক ও শরীরের মধ্যে বার্তা বহন করার জন্য স্নায়ুগুলোর প্রয়োজন পড়ে এই ভিটামিন। শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্যও ভিটামিন ডি অপরিহার্য। আমাদের ত্বক সূর্যের সংস্পর্শে এলে আমাদের শরীর ভিটামিন ডি তৈরি করে। সূর্যের আলোই ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে বড় উৎস।
সূর্যের আলো না থাকলে কী হবে?
বিজ্ঞাপন
বর্ষার দিনগুলোতে আমাদের জন্য সরাসরি রোদের সংস্পর্শে আসা আরও কঠিন হয়ে যায়। এদিকে প্রত্যেকের শরীর সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি প্রয়োজন। তো, রোদ না থাকলে কী করবেন? আপনার ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার জন্য কিছু উপায় রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
খাদ্য
আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা ভিটামিন ডি পেতে সাহায্য করতে পারে। ফ্যাটি মাছ যেমন ট্রাউট, স্যামন, টুনা এবং ম্যাকেরেল, সেইসঙ্গে মাছের লিভার তেল খাদ্যতালিকায় যোগ করুন। তুলনামূলকভাবে অল্প পরিমাণে ভিটামিন ডি সহ কিছু অন্যান্য খাদ্য উৎস রয়েছে এমন খাবার হলো- ডিমের কুসুম, মাশরুম এবং পনির। মাশরুমে সামান্য ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। গরুর দুধ, উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধ, কমলার রস এবং দইয়ে পাবেন ভিটামিন ডি। এ ধরনের খাবার প্রতিদিনের তালিকায় রাখলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি কিছুটা পূরণ করা সম্ভব।
সাপ্লিমেন্ট
অনেক সময় গ্রহণকৃত খাবারে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি মেটানো সম্ভব হয় না। তখন শরীরে ভিটামিন ডি এর অনেক লক্ষণ প্রকাশ পায়। এক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে। ভিটামিন ডি চর্বি-দ্রবণীয়। তাই চর্বিযুক্ত খাবারের সঙ্গে খেলে এটি এটি ভালোভাবে শোষিত হয়।
কখন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত?
অনেকে প্রয়োজন আছে কি না তা না জেনেই সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে। আপনার ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আছে কি না তা নির্ধারণ করার জন্য প্রথমে রক্ত পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলেও সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এটি কতদিন পর্যন্ত এবং কতগুলো খেতে হবে তা ভালোভাবে জেনে নিন। কারণ অতিরিক্ত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা ক্ষতিকর হতে পারে।
কীভাবে ভিটামিন ডি ক্ষতিকর হতে পারে?
অত্যধিক ভিটামিন ডি গ্রহণ ক্ষতিকর হতে পারে। আপনার রক্তে ভিটামিন ডি এর উচ্চ মাত্রার কারণে বমি বমি ভাব, বমি, পেশী দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, ব্যথা, ক্ষুধা হ্রাস, ডিহাইড্রেশন, অত্যধিক প্রস্রাব, অতিরিক্ত তৃষ্ণা এবং কিডনিতে পাথর হতে পারে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকুন।