হাঁটুর ব্যথা নিয়ে মুশকিলে পড়েন অনেকেই। এই ব্যথা যে কেবল বয়সের সঙ্গেই বাড়ে তা কিন্তু নয়। বরং অনেকের অল্প বয়সেই হাঁটু ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই ব্যথার কারণে দ্রুত চলাফেরা করাও অনেকের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। প্রতিদিনের কিছু কাজ এই ব্যথা কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। নিয়ম মেনে সেগুলো করলে আপনিও মুক্তি পাবেন সহজে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

নিয়মিত দৌড়ানো

ভাবছেন, হাঁটু ব্যথা নিয়ে হাঁটতেই কষ্ট হয়, দৌড়াবো কীভাবে? আসলে শরীর ফিট রাখার জন্য অন্যতম কার্যকরী ব্যায়াম হলো এই দৌড়ানোর অভ্যাস। এতে ক্যালোরি বার্ন হয় এবং হাঁটুও মজবুত হয়। আপনি যদি নিয়মিত দৌড়ানোর অভ্যাস করেন তবে হাঁটুর মেদ কমানো সহজ হবে। এর ফলে হাঁটু মজবুত হয় এবং আঘাত প্রবণতাও কমে আসে।

সাইকেল চালানোর অভ্যাস

সাইকেল চালানোর অভ্যাসের ফলে আপনার যে কেবল যাতায়াত খরচ বেঁচে যায় তা-ই নয়, বরং শরীরেও মেলে অনেক উপকারিতা। নিয়মিত সাইকেল চালানোর অভ্যাস হার্টকেও শক্তিশালী করে। সেই সঙ্গে মজবুত হয় হাঁটুও। এই অভ্যাসের ফলে উরু, কাফ মাসল এমনকি হাঁটুর ব্যায়াম হয়। হাঁটুর চর্বি কমানোর জন্য দিনে অন্তত ৩০ মিনিট সাইকেল চালানোর অভ্যাস করুন।

স্কোয়াটস

পা টোন করতে সাহায্য করে স্কোয়াটের মতো ব্যায়াম। হাঁটুতে জমে থাকা চর্বি দ্রুত গলতে শুরু করবে যদি আপনি নিয়মিত ১২টি করে স্কোয়াট করেন। এটি আপনি যেকোনোও জায়গায় করতে পারবেন। এতে হাঁটু ভালো থাকে। হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও থাকে না।

দড়ি লাফানো

স্কিপিং বা দড়ি লাফানো অত্যন্ত উপকারী একটি ব্যায়াম। নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে পা মজবুত হয়, হাঁটুর চর্বিও গলে যায়। স্কিপিং করার সময় সতর্ক থাকতে হবে নয়তো দড়িতে পা বেঁধে উল্টে পড়ে যেতে পারেন। এতে বিপদ বাড়বে। 

হাঁটা

যেখানে হেঁটেই যাওয়া যায়, সেখানে যেতে যানবাহন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ সকাল-সন্ধ্যা হাঁটলেই শরীর ফিট থাকবে। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে এবং হাঁটুও শক্তিশালী করবে। এতে হাঁটুতে ফ্যাটও জমতে পারে না।