শিশুদের বানিয়ে বানিয়ে বলার অভ্যাস থাকে। অনেক সময় এটি তার সৃজনশীলতারই অংশ মনে করে আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেই না। কিন্তু শিশু যদি অকারণেও মিথ্যা বলতে থাকে বা সত্যিটা লুকিয়ে রাখে তবে সতর্ক হোন। কারণ ছোট বয়সে শেখা যেকোনো বিষয়ই মানুষ প্রায় সারা জীবন মনে রাখে। মিথ্যার বীজ ছোটবেলায় রোপন হয়ে গেলে বড় হতে হতে তা বড় গাছে পরিণত হবে। তাই শিশুর মধ্যে মিথ্যা বলার অভ্যাস দেখলেই তা পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন-

নৈতিক শিক্ষা

শিশুরা মূলত বড়দের কাছ থেকেই শেখে। তাই সবার আগে নিজেকে ঠিক করতে হবে। শিশুকে একদম ছোট বয়সেই ভালো ও মন্দের পার্থক্যটা বুঝিয়ে বলুন। ভালো ভালো বই, ধর্মগ্রন্থ পড়তে শেখান। মানুষ হওয়ার সহজ পাঠ তারা আপনাদের কাছ থেকেই পাবে। মিথ্যা বলার ক্ষতিকর দিকগুলো তাকে বুঝিয়ে বলুন। শিশু যদি বই পড়তে আগ্রহী না হয় তবে আপনি নিজে পড়ে তাকে শোনাতে পারেন। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যেও ভালো কাজের চর্চা ধরে রাখুন।

নিজেকে বদলে ফেলুন

শিশুর মন হলো আয়নার মতো। তারা যা দেখে তাই শেখে। তাই শিশুর সামনে মিথ্যা বলার অভ্যাস বাদ দিন। আপনি যদি মিথ্যা না বলেন তাহলে শিশুও আর সেই কাজে উৎসাহ পাবে না। আর নিজেই যদি মিথ্যা বলতে থাকেন তবে শিশুর দোষ দিয়ে লাভ কী! 

বুঝিয়ে বলুন

শিশুকে জোর করে বোঝাতে যাবেন না। কারণ জোর করতে গেলেই শিশু রেগে যেতে পারে। তাকে বোঝাতে হবে ঠান্ডা মাথায়। গল্পোচ্ছলে, আড্ডা দেওয়ার সময় শিশুকে এমনভাবে বোঝাবেন যেন সে সহজেই বুঝে যায়। মিথ্যা বলার সম্ভাব্য পরিণতিগুলোও তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন। একবার মিথ্যা ধরা পড়লে তাকে যে আর কেউ বিশ্বাস করবে না এটাও বুঝিয়ে বলুন।

পুরস্কার দিন

শিশুরা পুরস্কার পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। তাদের এই স্বভাব কাজে লাগান। আপনার এই কৌশল তাকে মিথ্যা বলা থেকে বিরত রাখবে। তাকে বলুন যে, তুমি সারাদিনে একটিও মিথ্যা না বললে তোমাকে পুরস্কার দেওয়া হবে। এরপর সত্যিই যদি তা করে তবে তাকে চকোলেট কিংবা এ ধরনের কোনো উপহার দিন। পছন্দের জিনিস হাতে পেলে সে ভালো কাজে সহজেই উৎসাহী হবে।