ব্লাড সুগার বা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ কোনো কাজ নয়। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির খাবারের তালিকায় বড় অদল-বদল আনতে হয়। নয়তো সুগারের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের তালিকা নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়। কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সেই ৫ ফল সম্পর্কে-

পেঁপে​

উপকারী একটি ফল হলো পেঁপে। এই ফলে থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। পেঁপের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। যে কারণে এই ফল খেলে রক্তে সুগার বাড়ার ভয় থাকে না। এছাড়া পেঁপেতে থাকা কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমতে বাঁধা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ফোলেট, লিউটিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডের মতো উপকারী উপাদান রয়েছে এই ফলে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে পেঁপে খেতে পারেন।

আপেল

উপকারী ফলের তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে আপেলে নাম। প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। এই ফলে থাকে পলিফেনলস নামক এক ধরনের ফ্লাভানয়েডস। এই উপাদান অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে। আপেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাত্র ৩৬। এতে ক্যালোরির পরিমাণও একেবারেই কম। যে কারণে আপেল খেয়ে সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

কমলা

কমলা এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। এই ফলও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর জন্য ভীষণ উপকারী। কমলায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। কমলায় থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার যা কিনা সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন একটি করে কমলা খেতেই পারেন।

পেয়ারা

আমাদের খুব পরিচিত একটি ফল হলো পেয়ারা। এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। এই ভিটামির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এই ফলে থাকে প্রচুর ফাইবারও। পেয়ারা সুগার নিয়ন্ত্রণেও কার্যকরী বলে জানিয়েছে এনসিবিআই-তে প্রকাশিত এক গবেষণা। তবে পেয়ারার সঙ্গে লবণ মাখিয়ে খাবেন না। এতে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। 

আমলকী

সুগারকে নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে আমলকী। এই ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই দুই উপাদান সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে নিয়মিত আমলকী খেতে হবে।