অনেকেই আছেন, যারা সব কাজই শেষ দিনের বা পরে করার জন্য ফেলে রাখেন। আর এর সবটাই হয় আলসেমির জন্যই। এভাবে দিনের পর দিন চলতে চলতে শেষে কাজের পাহাড় জমা হয়ে যায়। তাড়াহুড়ো করে শেষ করতে গিয়ে কোনো কাজই মনের মতো হয় না। কীভাবে আলসেমি দূর করা যায়, সেজন্য রইল সহজ কয়েকটি উপায়-

অগ্রিম পরিকল্পনা

জীবনে পরিকল্পনা করে কাজ না করলে মুশকিলে পড়তে হয়। ধরুন আপনার কাছে কোনো কাজ এল, আপনি চেষ্টা করুন দিনের দিনেই সেই কাজটা শেষ করে ফেলতে। জমিয়ে রাখলেই আলস্য তৈরি হবে।

কাজগুলো ভাগ করে নিন

একদম শেষ দিনের জন্য কোনো কাজ ফেলে রাখলে তা যতক্ষণ না শেষ হচ্ছে, মনের মধ্যে উদ্বেগ চলতে থাকে। এই রকমটা না করে আগে থেকেই কোন দিন কোন কাজ করবেন, তা ভাগ করে রাখুন। এক দিনে অনেক কাজ শেষ করতে হলে বেশি চাপ হয়ে যায়। তাই কাজগুলো বিভিন্ন দিনে ভাগ করে নিন।

দিনের শুরুটা হোক প্রাণবন্ত

ভালো একটা দিন কাটাতে হলে দিনের শুরুটা প্রাণবন্ত হওয়া উচিত। নিজের ভালো লাগা থেকেই চিন্তা করতে পারেন কীভাবে দিনের শুরুটা রঙিন করা যায়। কেউ সকালে শরীরচর্চা করেন, কেউ দিনটা শুরু করেন গান শুনে। কারো আবার যোগাসন করলে দিনের শুরুটা ভালো হয়। সকালে চোখ খুলেই মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস অনেকের আছে। এই কাজটা করবেন না। এতে যেমন অনেকটা সময় চলে যায়, তেমনই কোনো নেতিবাচক খবর সামনে এলে তা আপনার মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে আপনার কাজের প্রতি অনীহা তৈরির কারণ হতে পারে।

খাবারে বদল আনুন

খাদ্যাভ্যাসে কোনো ভুলও আপনার কুঁড়েমির কারণ হতে পারে। কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের মাত্রা কমিয়ে ডায়েটো প্রোটিন ও ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। খাবারে চিকেন, ডিম, কাঠবাদাম বেশি করে রাখুন। এছাড়া, ডায়েটে চিনির মাত্রা কমাতে হবে। যেসব খাবার ও পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি আছে, তা এড়িয়ে চলুন।

কেএ