পুরুষের মধ্যেও ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বেড়ে চলেছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হতে পারে ভুল খাদ্যাভ্যাস। অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক খাবারটি বাদ থেকে যায় খাবারের তালিকা থেকে। হয়তো খেলেও তা পর্যাপ্ত হয় না। একটা সময় ভ্রান্ত ধারণা ছিল, বন্ধ্যাত্বের জন্য কেবল নারীই দায়ী। তবে সেই ধারণা ভেঙে বিজ্ঞান সত্যিটা সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে। 

বর্তমান আধুনিক বিশ্বেও অনেক পুরুষের বিশ্বাস, বন্ধ্যাত্বের জন্য পুরুষ দায়ী হতে পারে না। এই ভুলের কারণে তারা সন্তানের মুখ দেখতে পায় না। স্পার্মের মান কমে যাওয়া, স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়া কিংবা স্পর্মের গতিবিধি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে পুরুষের ক্ষেত্রে। তাই সন্তান না হলে নারী ও পুরুষ উভয়েরই পরীক্ষা করিয়ে কারণটা জানা জরুরি।

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর করতে অন্যতম সাহায্যকারী হতে পারে সঠিক খাবার। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করতে কাজ করে। সেসব খাবার নিয়মিত খেলে সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

মাছ

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মাছ খেলে স্পার্মের গতিবিধি বা স্পার্ম মোটিলিটি ঠিকভাবে হয়ে থাকে। যে কারণে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থাকে অনেকটাই দূরে। মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এই কাজে সাহায্য করে। এটি স্পার্মের মান উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই মাংস খাওয়া কমিয়ে মন দিতে হবে বিভিন্ন রকম মাছ খাওয়ার দিকে। এতে সুফল পাবেন দ্রুতই।

ফল ও সবজি

২৫০ জনের ওপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত ফল ও সবজি খেলে পুরুষের ফার্টিলিটি বাড়ে খুবই দ্রুত। সেইসঙ্গে স্পার্মের মান ও গতিবিধিও বৃদ্ধি পায় অনেকটা। কিন্তু যেসব পুরুষ এ ধরনের খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলেন তাদের স্পার্মের মান কমতে থাকে। গবেষণায় থেকে আরও জানা গেছে, শাক-সবজি ও ফলে থাকে প্রচুর কো এনজাইম কিউ ১০, ভিটামিন সি এবং লাইকোপেন। এই উপাদানগুলো ফার্টিলিটি বাড়াতে কাজ করে।

আখরোট

ইউশিকাগোমেডিসিন.ওআরজি- এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিয়মিত আখরোট খেলে পুরুষের ফার্টিলিটি বাড়ে খুব দ্রুত। তাদের কথায়, স্পার্মের মান বৃদ্ধি করার কাজে কার্যকরী হলো এই বাদাম। নিয়মিত আখরোট খেলে বৃদ্ধি পাবে স্পার্মের ভাইটালিটিও। যে কারণে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা কমে আসবে অনেকটাই। তাই পুরুষের ফার্টিলিটির মান ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত আখরোট খেতে হবে।

পর্যাপ্ত পানি

পর্যাপ্ত পানি পান করা সব সময়ের জন্য জরুরি। এটি প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে ফার্টিলিটি বাড়িয়ে তুলতে পারে। কারণ পর্যাপ্ত পানি পান করার মাধ্যমে শরীরে থাকা টক্সিন শরীরের বাইরে বের হয়ে যায়। যখন আপনার শরীর দূষিত পদার্থ-মুক্ত থাকবে তখন দূরে থাকবে সব ধরনের অসুখও। তাই পরোক্ষভাবে পুরুষের ফার্টিলিটি বৃদ্ধি পায়।