ছবি: প্রতীকী

আমার বাবা প্রবাসী ছিলেন। তাই আমরা ভাই-বোনরা বাবাকে খুব বেশি পেতাম না। বছর দুয়েক পর বাবা দেশে আসতেন। তখন আমরা ফিরে পেতাম বাবা নামক এক সূর্যকে। বাবাকে কাছে পেলে আমরা ভাই বোনরা বাবাকে ঘিরে দুষ্ট মিষ্টি অনেককিছু করতাম।

এক.

বাবা একবার সৌদি আরব থেকে দেশে এলেন। আমরা বিমান বন্দরে রিসিভ করতে গেলাম। বিমান ল্যান্ড করার পরও আমাদের অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আমরা আমাদের গাড়িতে বসে অপেক্ষা করছি। আর আমার ফুফাতো ভাই বিমান বন্দরের গেটের ওদিকে। এর অনেকক্ষণ পর বাবা অপরিচিত একটা নম্বর থেকে আমাদের ফোন করে জানালেন, ‘আমাকে ফেলে বিমান চলে গেছে। আমি আসতে পারলাম না!’ আমাদের তো তখন অবস্থা খারাপ। কেন এমনটা হলো? অথচ বাবা ফোন করলেন দেশের একটা নম্বর থেকে। প্রথমে আমরা সেটা খেয়াল করিনি! আমরা যখন মন খারাপ করে বসে আছি, তখনই ফুফাতো ভাইকে নিয়ে আব্বা আমাদের গাড়ির সামনে হাজির! আমাদের কত বড় সারপ্রাইজটা না দিলেন বাবা সেদিন।

দুই.

বাবা তখন বিদেশে। আমার এক মামার মাধ্যমে আমাদের জন্য অনেক ধরনের অনেকগুলো চকোলেট পাঠালেন। এর কিছুদিন আগে বাবাকে একটা ভিডিও গেইমের ডিভাইস পাঠাতে বলেছিলাম। বাবা রাজি হচ্ছিলেন না। বললেন, ‘পড়ালেখা হবে না ওটা দিলে’। তো আমরা চকোলেটগুলো খুলতে খুলতে দেখি, একদম নিচে সেই ভিডিও গেমসের ডিভাইসটা। অথচ বাবা সেটা পাঠাবেন না বলেছিলেন!
বাবা এরকম অনেক চমৎকার সারপ্রাইজ আমাদের দিতেন। এমন আরও হাজারটা গল্প আছে বাবাকে ঘিরে।

লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।