মেকআপ ব্যবহারে ব্রণ হচ্ছে কি না বুঝবেন যেভাবে
ব্রণের সমস্যা থেকে রক্ষা ও সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য অনেকেই নানা ধরনের কসমেটিক ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বাজারে বেশ কিছু কসমেটিক রয়েছে যেগুলো ব্যবহারে ব্রণ আরও বাড়তে পারে। এই ধরনের সমস্যাকে বলা হয় অ্যাকনি কসমেটিকা।
এটি হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে মেকআপ ব্যবহারের পরই মুখে ব্রণ দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্রণ গালে, থুতনিতে বা কপালে দেখা যায়। সাধারণত মেকআপের জন্য যে ব্রণ বেরোয় তার মুখগুলো সাদা হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ফুসকুড়িও বেরোয়। অনেক সময় ঠোঁটের ওপরও ব্রণ বা ফুসকুড়ি বেরোতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে বুঝবেন আপনার লিপ বাম বা লিপস্টিকই দায়ী।
যে কসমেটিকে সমস্যা রয়েছে আপনার তা বুঝতে হয়তো সময় লাগতে পারে। মুখে মেকআপ করার পরই যে হঠাৎ করে ব্রণের উদয় হবে এমনটা নয়। মেকআপের কারণে ব্রণ হতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মাসও কেটে যায়। এই কারণে মেকআপ ও ব্রণের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, তা বুঝতে অনেক সময় লেগে যায়। যদি মেকআপের কারণে আপনার ব্রণের সমস্যা হয়, তাহলে সাধারণ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নজর দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
১) মেকআপ পণ্যের ওপর নজর দিন। ত্বকের জন্য সঠিক মেকআপ পণ্য বেছে নিন। মেকআপ কেনার আগে লেবেল পড়ে নিন। একই উপায় কাজে লাগান ত্বক ও চুলের প্রসাধনী পণ্য কেনার সময়।
২) হালকা মেকআপ করুন। মুখে খুব বেশি মেকআপ করবেন না। পাশাপাশি ধীরে-ধীরে মেকআপ লাগাবেন। ত্বকের ওপর খুব বেশি চাপ দেবেন না।
৩) নিয়মিত মেকআপ ব্রাশ, ব্লেন্ডার ও স্পঞ্জ পরিষ্কার করুন। এই সব পণ্যের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রতি সপ্তাহে এগুলো পরিষ্কার করুন।
৪) দিনের শেষ অবশ্যই মেকআপ তুলে ঘুমাতে যাবেন। প্রথমে মেকআপ রিমুভার বা নারকেল তেল দিয়ে মেকআপ তুলে ফেলুন। তারপর ফোমিং ফেসওয়াশের সাহায্যে মুখ ধুয়ে নিন। এরপরও রোমকূপে মেকআপ জমে থাকে। তাই পুনরায় ক্লিনজার ব্যবহার করে মুখ ধুয়ে নেবেন।
৫) ব্রণ হলে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করুন এবং ত্বক ময়েশ্চারাইজ করুন। যদি ব্রণের সমস্যা না কমে তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
এমএ