Male Infertility : স্পার্ম কাউন্ট কমে যায় যে ৫ ভুলের কারণে
বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে পরিচিত একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়া। বিশেষজ্ঞরা এর জন্য জীবনযাত্রার ধরনকেই বেশি দায়ী করছেন। প্রতিদিনের কিছু ছোট ছোট ভুল এই বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। স্পার্ম কাউন্ট বা শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে পরিবার পরিকল্পনায় ব্যাঘ্যাত ঘটছে।
বর্তমানে অতি ব্যস্ত জীবনযাত্রা, খাবারে অনিয়ম, স্ট্রেস কিংবা মানসিক চাপের কারণে স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে। এই সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই পুরুষের বয়স ত্রিশ পার হলেই বিশেষভাবে সতর্ক হতে হবে। আর যেসব অভ্যাস এই সমস্যা বাড়িয়ে দেয়, সেগুলো বাদ দিতে হবে। জেনে নিন প্রতিদিনের কোন অভ্যাসগুলোর কারণে কমে যেতে পারে স্পার্ম কাউন্ট-
বিজ্ঞাপন
আঁটোসাঁটো অন্তর্বাস
আপনার যদি আঁটোসাঁটো আন্ডারওয়্যার বা অন্তর্বাস পরার অভ্যাস থাকে তবে তা বন্ধ করতে হবে। তাই এ ধরনের অন্তর্বাস পরা থেকে বিরত থাকুন। সেইসঙ্গে দিনের মধ্যে অন্তত ৯-১০ ঘণ্টা অন্তর্বাস ছাড়া থাকার অভ্যাস করুন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রিপ্রোডাকশন জার্নালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আঁটোসাঁটো অন্তর্বাস পরার অভ্যাস থাকলে তা স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেয়।
ল্যাপটপ কোলে নিয়ে কাজ করা
বর্তমানে আমাদের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে ল্যাপটপ। বেশিরভাগ মানুষেরই ল্যাপটপ কোলে নিয়ে কাজ করার অভ্যাস। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে এই সাধারণ অভ্যাসই হতে পারে ক্ষতির বড় কারণ। যখন কোনো পুরুষ কোলে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন তখন এর তাপে স্বাভাবিক স্পার্মের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন।
ধূমপান
বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, চেইন স্মোকারদের ক্ষেত্রে স্পার্মকাউন্টে অনেক সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ সিগারেটে থাকা নিকোটিন শুক্রাণুর স্বাভাবিক উৎপাদনে বাধা তৈরি করে। ধূমপানের কারণে মানুষের শরীরের স্বাভাবিক ফ্লুইডের পরিমাণ কমে যায়, যে কারণে কমে যায় স্পার্ম কাউন্টও। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন।
মদ্যপান
ধূমপানের অভ্যাস বাদ দেওয়ার পাশাপাশি বাদ দিতে হবে মদ্যপানও। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে শুক্রাণুর স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই যারা বাবা হতে চাইছেন, তাদের মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত বাদ দিন।
অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল
অনেকেরই এই অভ্যাস রয়েছে। বিশেষ করে শীতের সময়ে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় তারা অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করেন। এই অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আপনার যদি এ ধরনের অভ্যাস থাকে তবে তা বাদ দিন।